২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার
যুক্তরাজ্যে দক্ষিণ এশীয় শিল্পের শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক সংস্থা সৌধের প্রযোজনায় বিশ্বখ্যাত রয়্যাল আলবার্ট হলে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে এক নতুন পরিবেশনা ‘শৃঙ্গার ও পার্থিব প্রণয়ের গান: ঠুমরি থেকে ট্রুবাডোর’। ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আলবার্ট হলের এলগার রুমে অনুষ্ঠিত হবে এই পরিবেশনা।
এতে বাংলা টপ্পা, কীর্তন, দক্ষিণ-ভারতীয় শাস্ত্রীয় উপশাস্ত্রীয় সংগীতের পাশাপাশি থাকছে প্রাচীন গ্রিক, চীনা, আরব্য, ইতালিয়ান বেলকান্ট ও আদি ইউরোপীয় ধ্রুপদী সংগীত ট্রুবাডোরের সম্মোহনী সব উপস্থাপনা। যোগ দেবেন জগতের নানা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিশ্ববিখ্যাত কিছু সংগীত-কুশিলবরা।
এই বিশেষ সমবায়ী শিল্প-উদ্যোগের পরিচালক আহমেদ কায়সার জানান, বিশেষত দক্ষিণ ভারতীয় প্রাচীন সংগীত, কবিতা ও চিত্রকর্ম দিয়ে এই ভোগ-সর্বস্ব আধুনিক জীবনে ফলত ইন্দ্রীয়সুখের নতুন অর্থ ও ব্যাখ্যা আবিস্কার করার এক দার্শনিক অনুসন্ধিৎসা হল এই আয়োজনের প্রধান লক্ষ্য। সিল্ক রুট ও প্রাগৈতিহাসিক বিভিন্ন রুটে ফলত মানুষের শিল্প ও সার্বজনীন অথচ বিচিত্র আবেগ বিচিত্র সব ভৌগোলিক পরিবেশে যাতায়াত করেছে, তাই, এই পরিবেশনাগুলোর মাঝে প্রাতিস্বিক শিল্প-ভাবনার পাশাপাশি আবার রয়েছে মানুষের সর্বজনীন স্বপ্ন ও বাসনার এক গূঢ় আত্মীয়তাও। দর্শকেরা এই অভূতপূর্ব আত্মীয়তাকে যেমন মন্ত্রমুগ্ধ ভাবে উপভোগ করবেন, তেমনি প্রাচীন সংগীত ও সাহিত্যের নিরিখে মানুষের ইন্দ্রীয়সুখ নিয়ে নতুন নতুন চিন্তায়ও ব্রতী হবেন বলে আমার বিশ্বাস।
কায়সার জানান, এই নিরীক্ষাধর্মী পরিবেশনা বাঙালি এবং দক্ষিণ এশীয় সংগীত স্রষ্টাদের কাছেও নতুন নতুন সুর, বিশ্বের লুপ্তপ্রায় বিচিত্র সব প্রাচীন সংগীতের এক নতুন জানালা উন্মোচন করবে।
সৌধের এই নতুন শিল্প-উদ্যোগে সংগীত পরিবেশন করবেন ইতালিয়ান বেলকান্ট সংগীতের শেষ ও শীর্ষতম প্রতিনিধি জিয়াজান, খ্রীস্টপূর্ব দুই হাজার বছরেরও প্রাচীন চীনা বাদ্যযন্ত্র গুজেঙ বাদক ইজিয়া তু, গ্রীক-লেবানিজ কন্ঠশিল্পী লারা ইদি, নিয়া পলিটান ট্রুবাডোর শিল্পী রসেলা বন্ডী, ভারত থেকে আসা হিন্দুস্তানী ধ্রুপদী শিল্পী ও ওস্তাদ রাশিদ খানের সংগীতশিষ্যা কোয়েল ভট্রাচার্য ও কুন্তল দাস, বৃটিশ -বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী গৌরি চৌধুরী, ফারজানা সিফাত ও অমিত দে। কবিতা পাঠে অংশ নেবেন মেধাবী কবি ও কথাশিল্পী শ্রী গাঙুলী এবং আবৃত্তিকার তানজিনা নূর-ই সিদ্দীক।
সৌধ গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সাউথ ব্যাঙ্ক সেন্টার, রয়্যাল আলবার্ট হল, হাউজ অব কমন্স, হারোগেট থিয়েটার, এডিনবারা ফ্যাস্টিভাল, ওয়েলশ পার্লামেন্ট, স্কটিশ পার্লামেন্ট, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, বার্মিংহাম সিম্ফোনি হল সহ বৃটেনের মূলধারার প্রধান প্রধান আর্ট ও একাডেমিক ভ্যানুতে দক্ষিণ এশিয় মার্গীয় শিল্প ও বিশ্বের অন্যান্য ধ্রুপদী শিল্পের সম্মোহনী, সমবায়ী ও বিনির্মাণবাদী প্রযোজনা দিয়ে ব্রিটেন ও বৃটেনের বাইরে বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছে। সূত্র: বাসস
/ঢাকা বিজনেস/
