২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



রেমাল: বাড়ছে পানি, ডুবছে কক্সবাজার

তাফহীমুল আনাম, কক্সবাজার || ২৬ মে, ২০২৪, ০২:০৫ পিএম
রেমাল: বাড়ছে পানি, ডুবছে কক্সবাজার


সমুদ্রের জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়ায়। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট ও শুটকি মহাল। সমিতি পাড়া বাজার থেকে কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতি পাড়া, মোস্তাক পাড়া, বাসিন্না পাড়ার নিচু অংশ প্লাবিত হয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছে লোকজন। ঘূর্ণিঝড় রেমালের  প্রভাবে সাগরে পানির উচ্চতা বেড়েছে। ইতোমধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে কক্সবাজারে।  রোববার (২৬ মে) বেলা ১২ টার পর থেকে সমিতিপাড়ায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। 

সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক-কর্মীরা এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করছেন। পাশাপাশি লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে অনুরোধ করছেন।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ইতোমধ্যে ৯ নম্বর মাহবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। রেমালের কারণে উত্তাল রয়েছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৬ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদ সংকেত দেখাতে বলায় সমুদ্রের বালিয়াড়িতে টানানো হয়েছে লাল পতাকা। 

সমিতিপাড়া এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ হোসেন বলেন, বেলা ১২ টার পর হঠাৎ জোয়ারের পানি ডুকে পড়ে লোকালয়ে। জলোচ্ছ্বাসে ডুবে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। পরিবার নিয়ে শহরতলীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি আমরা। 

কুতুবদিয়া পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা আলী আজগর বলছেন, জোয়ারের পানিতে প্রায় সময় এ অঞ্চল প্লাবিত হয়। তবে এবার সাগরের পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নাজিরারটেক শুঁটকি মহালে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে শুঁটকি মহালের জিনিসপত্র গোছানোর কর্মব্যস্ততা বেড়েছে কর্মচারীদের।

পৌর কাউন্সিলর আক্তার কামাল বলেন, সমিতিপাড়ার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রয়েছে। 

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সিপিপির ৮ হাজার ৬০০ এবং রেডক্রিসেন্টের ২ হাজার ২০০-সহ মোট ১০ হাজার ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৬৩৮ আশ্রয়কেন্দ্র। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এছাড়া সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৪৮৬ মেট্রিক টন জি আর চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল ১৮ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ২৯ বান্ডিল ঢেউটিনের সঙ্গে গৃহনির্মাণ মঞ্জুরি অর্থ বাবদ ৬৯ হাজার টাকা মজুদ আছে।

/ঢাকা বিজনেস/



আরো পড়ুন