ঢালিউডের আলোচিত ও সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে প্রায়শই থাকেন সংবাদ শিরোনামে। তবে এবার শিরোনামে এসেছেন ভিন্ন কারণে। এবার এফডিসিতে কোরবানি দেবেন না এই অভিনেত্রী।
২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো এফডিসিতে কোরবানি দিয়ে সবাইকে চমকে দেন পরীমণি। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, যতদিন বেঁচে থাকবেন এফডিসিতে কোরবানি দেবেন। চলচ্চিত্রের অসচ্ছল সহশিল্পীদের মাঝে মাংস বিতরণ করবেন। এই কথার ধারাবাহিকতা একটানা ধরে রেখেছিলেন পরী। সর্বশেষ ২০২১ সালে ৬টি গরু কোরবানি দেন এই নায়িকা।
কিন্তু সে বছর এফডিসির ভেতর কোরবানি দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরীমণি বাইরে কোরবানি দেন। এর পরের বছর কেউই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) কোরবানি দেয়নি।
সহকর্মীদের জন্য একটানা ৬ বছর এফডিসিতে কোরবানি দিয়েছিলেন হালের জনপ্রিয় এ চিত্রনায়িকা। তার এই মানবিক কাজ প্রশংসিত হয়েছে অসংখ্যবার। তবে সে বছর পরী নিজেও কোরবানি দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। কী কারণে সে কথা স্পষ্ট করেননি তিনি।
এদিকে, আর কদিন বাদেই ঈদুল আজহা। এবার কোরবানি নিয়ে কী ভাবছেন অভিনেত্রী? এমন প্রশ্নে পরীমণি বলেন, অবশ্যই কোরবানি দেব। তবে এফডিসির জন্য নয়, নিজের পরিবারের জন্য।
পরীর কথায় স্পষ্ট, তার মনের ভেতর জমা অনেক চাপা কষ্ট। যে প্রিয় কর্মস্থল এফডিসির জন্য এক ধরনের শপথ নিয়েছিলেন প্রতিবছর কোরবানি দেওয়ার সেই জায়গা থেকে কিছু সংখ্যক মানুষের প্রতি ক্ষোভ থাকায় অভিমান করে মুখ ফিরিয়ে নিতে হয়েছে তাকে।
কারণ, ২০২১ সালে পরীকে এফডিসিতে কোরবানি দিতে দেওয়া হয়নি। সেদিন এফডিসিতে প্রবেশে বাধা পেতেও হয়েছিল তাকে। এরপর থেকেই এফডিসির অসচ্ছল সহকর্মীদের জন্য কোরবানি দিচ্ছেন না তিনি। অথচ পরীমণির হাত ধরেই এফডিসিতে কোরবানি দেওয়ার রীতি চালু হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন পরীমণি। সন্তান রাজ্যেকে ঘিরেই তার সব ব্যস্ততা। তবে দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন পরী।
ঢাকা বিজনেস/এন/