প্রচণ্ড রোদ আর তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে দিনাজপুরের হিলির জনজীবন। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। জীবকার তাগিদে যারা ভ্যান, অটোবাইক, রিকশা নিয়ে বের হচ্ছেন, তারাও একটু পরিশ্রম করার পর হাঁফিয়ে উঠছেন। বিশ্রাম নেওয়ার পর আবার শুরু করছেন কাজ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকেরা। প্রচণ্ড দাপদাহ উপেক্ষা করে তারা চাতালে ধান শুকানো, ট্রাক থেকে মালামাল ওঠানামার কাজ করছেন। একটু পরপর ঠাণ্ডা জাতীয় পানীয় পান করে যোগ দিচ্ছেন কাজে।
কথা হয় চাতাল শ্রমিক গোলাম রব্বানীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা বস্তা চুক্তিতে ধান শুকানোর কাজ করি। রোদ কড়া হলে ধান শুকতে সুবিধা হয়। কিন্তু আমাদের অনেক কষ্ট হয়। ধান মেলে দিয়ে ঠাণ্ডা জায়গায় বসে থাকি। আবার কিছুক্ষণ পর যখন ধানে পা দিতে হয়, তখন আবার শরীরে কুলাই না। একবার ধানে পা দিয়ে এসে আবার বিশ্রাম নিতে হয়।’
অটোবাইক চালক মো. আনছার আলী বলেন, ‘রোদের কারণে যাত্রী মিলছে না। সকালে রোদ ওঠার আগে যে কয়জন যাত্রী পাই, তারপর আর পাই না। তারমধ্যে আজ শুক্রবার মানুষজন একটু কমই বাড়ির বাইরে বের হয়। দেখি কপালে থাকলে আবার বিকেল হয়তো কিছু যাত্রী মিলতে পারে।’
এলাকাবাসী মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘রোদের কারণে বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। তাই সকাল সকাল বাজার করে বাড়ি ফিরছি। প্রয়োজন ছাড়া বাজারে আসার ইচ্ছেই ছিল না।’
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দিনাজপুর জেলায় বিকেলে সব্বোর্চ ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আজ শুক্রবার (১৭ মে) এখনো তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়নি। আমরা প্রতিদিন বেলা ১২ টা থেকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা শুরু করি।’
তোফাজ্জল হোসেন আরও বলেন, ‘আজ যে লক্ষণ দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে আজকের তাপমাত্রাও গতকালের মতোই হতে পারে।’
/ঢাকা বিজনেস/এনই/