২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



কেন পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়ে, দাম কমে

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ১১ মে, ২০২৪, ০৫:৩৫ এএম
কেন পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়ে, দাম কমে


একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা।  শুক্রবার (১০ মে) প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর পরদিন শনিবার (১১ মে) প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের বাজার নিয়মিত মনিটরিং না করায় বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন-কমাচ্ছেন। তবে বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ধীরে ধীরে কমে আসছে। বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। 

শনিবার (১১ মে) সকালে হিলিবাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘একমাস আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গতকাল শুক্রবার বিক্রি হয়েছে। ৬০ টাকা কেজি। আর আজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি।’

মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে পেঁয়াজের মূল্য বাড়াচ্ছেন। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করায় তারা এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন।’

আরেক পেঁয়াজ ক্রেতা মো. মাজেদ হোসেন বলেন, ‘আমার হোটেল আছে। প্রতিদিন ৫ কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে হয়। গতকাল শুক্রবার ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনি ৩০০ টাকা দিয়ে। আর আজ একদিন পর শুক্রবার (১১ মে) ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনতে হলো ৩৫০ টাকা দিয়ে। প্রতিকেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে।’ 

মাজেদ হোসেন আরও বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আজ আসবে-কাল আসবে কারণেই হয়তো পেঁয়াজ বিক্রেতারা কখনো পেঁয়াজের দাম কমিয়ে দিচ্ছেন। আবারও যখন দেখছেন ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না। তখন আবার পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।’ 

পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. মোকারম হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আসলে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। বিক্রেতাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা যে-দামে কিনি তার চেয়ে হয়তো কেজিতে ৫ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি।’ 

মোকারম হোসেন আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৫৫ টাকায় কিনে ৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। আর আজ পাইকারিই কিনতে হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি। তাই ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে কিনতে পারলে আমরাও কম দামে বিক্রি করবো।’

ঢাকা বিজনেস/এনই 




আরো পড়ুন