২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



বাঁশ ফাটালেই ৮০০ টাকা!

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০৫:৩৪ এএম
বাঁশ ফাটালেই ৮০০ টাকা!


দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার মোংলাবাজারে গড়ে উঠেছে বাঁশের হাট । সপ্তাহে দু’দিন শনিবার ও মঙ্গলবার বসে এই হাট। স্থানীয়রা বলছেন, মোংলাবাজারে বাঁশের হাট গড়ে উঠেছে মূলত এই এলাকায় ৩ শতাধিক পানের বরজের কারণে। এখানে বাঁশ ফাটিয়ে  তৈরি করা ‘বাতা’ কিনে নিয়ে যান পানবরজের মালিকেরা।  ‘বাতা’ তৈরির জন্য বাঁশ ফাটিয়ে দৈনিক একেকজন শ্রমিকের আয় হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।  

মোংলাবাজারে বাঁশ বিক্রি করতে এসেছেন পাঁচবিবি উপজেলার আটাপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের ঝাঁড়ের বাঁশ বিক্রি করতে মোংলাবাজারে এসেছি। প্রায় এই বাজারে বাঁশ বিক্রি করতে আসি। একটি ভ্যানে ৮ থেকে ১০টি বাঁশ নিয়ে আসি। প্রতিটি বাঁশ আকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করি।’

পানবরজের জন্য বাতা কিনতে আসা ঘাসুরিয়া গ্রামের মো. সাদেক আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ৩ শতাধিক পানের বরজ আছে। পান বরজের ওপরের ছাউনি, চারিদিকে ঘেরা দেওয়ার জন্য বাঁশেল খুঁটি ও বাতার দরকার হয়। আমরা এই মোংলা বাজার থেকে খুঁটি ও বাতা নিয়ে নিয়ে পানবরজ মেরামত করি।’  

সাদেক আলী আরও বলেন, ‘প্রতিটি বাঁশ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা এবং প্রতি বোঝা বাতা (১৬০টি) ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত কিনতে হয়। গ্রামের পাশেই হাট বসায় পরিবহন খরচ কম হয়।’ 

বাঁশ ফাটা শ্রমিক মো. মেহেদী হাসান ও মো. রনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন সকালে এসে বাঁশ ফাটার কাজ শুরু করি। ১ বোঝা বাঁশের বাতা (১৬০টি) ফাটালে ৬০ থেকে ৮০ টাকা মজুরি পাই। দিনে ৮ থেকে ১০ বোঝা বাতা ফাটানো সম্ভব। আর এতে মজুরি পড়ে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।’

বাঁশ ও বাতা বিক্রেতা মো. ইব্রাহিম হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘মোংলাবাজারে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাঁশ বিক্রেতারা বাঁশ বিক্রি করতে আসেন। আমরা তাদের কাছ থেকে পাইকারি বাঁশ কিনে নিয়ে রাখি। পরে পান বরজের মালিকেরা প্রয়োজন মতো বাঁশের খুঁটি আর বাতা কিনে নিয়ে যান। বেচাবিক্রি  ভালো হয়।’ 

ইব্রাহিম হোসেন আরও বলেন, ‘১ বোঝা বাঁশের বাতা তৈরি করতে আকারভেদে ৮ থেকে ১০টি বাঁশ লাগে। তার সঙ্গে আছে শ্রমিকের মজুরি। সবমিলিয়ে ১ বোঝা বাতায় গড়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা মতো পড়ে। আর বিক্রি করি ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত।’ 

/ঢাকা বিজনেস/এনই



আরো পড়ুন