২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



অর্থনীতি
প্রিন্ট

কর প্রশাসন-নীতি প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান আলাদার সুপারিশ: যা বললেন তারা

মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান || ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ১১:৩২ পিএম
কর প্রশাসন-নীতি প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান আলাদার সুপারিশ: যা বললেন তারা


কর সংগ্রহকারী কর প্রশাসন ও  করনীতি-নির্ধারণী প্রতিষ্ঠানকে আলাদা করায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। উভয় প্রতিষ্ঠানকে আলাদা করার পক্ষে যেমন সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ মত দিয়েছেন, তেমনি অনেকে বিরোধিতাও করেছেন। 

সম্প্রতি ‘রাজস্ব সম্মেলন-২০২৩’ উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর বিষয়ক সেমিনারে  মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেছেন, ‘কর প্রশাসন ও  করনীতি-নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান আলাদা করা জরুরি। তবে সেটা কিভাবে করা যায়, সেটি বড় প্রশ্ন।  করদাতাদের ট্যাক্স রিফান্ড করার ক্ষেত্রে এখনো অনেক জটিলতা রয়েছে। এই জায়গায় অবশ্যই উন্নতি করতে হবে। করদাতার জমানো টাকা পরিশোধে বিলম্ব করা যাবে না।’ তিনি ভীতিমুক্ত কর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)-এর সিনিয়র এডিশনাল সেক্রেটারি জেনারেল শাহ্ আব্দুল খালেক ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই আমরা কর প্রশাসন ও করনীতি-নির্ধারণী প্রতিষ্ঠানকে  আলাদা করার দাবি করে আসছি। বর্তমানে এনবিআর-এই দুইটি আলাদা ডিপার্টমেন্টের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আলাদা প্রতিষ্ঠান হলে কর সংগ্রহ বাড়বে। জবাবদিহিতাও বর্তমানের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়বে। ডিপার্টমেন্ট দুটি পৃথক পৃথক প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত হলে কর ফাঁকি বন্ধ হবে। হয়রানি কমবে এবং বিজনেস ফ্রেন্ডলি হবে।’

এনবিআর-এর সদস্য (ট্যাক্স পলিসি) সামস উদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘অনেকে বুঝে কথা বলেন, অনেকে না বুঝে কথা বলেন। করপ্রশাসন ও করনীতি-নির্ধারণীকে পৃথক পৃথক প্রতিষ্ঠানে নিয়ে গেলে সরকারের ব্যয় বাড়বে। এখন আমরা একই চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে কাজ করছি। চেয়ারম্যান যখন প্রয়োজন আমাদের দুই ডিপার্টমেন্ট নিয়ে বসে কথা বলছেন। পৃথক প্রতিষ্ঠান হলে পৃথক চেয়ারম্যান থাকবেন। এতে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ কমে যাবে। কাজ সমাপ্তির সময় বাড়বে।’   

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন