২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



খরায় পানবরজ রক্ষায় শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
খরায় পানবরজ রক্ষায় শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ


বৃষ্টির অভাবে পানপাতা মরে যেতে পারে-এমন আশঙ্কায় পানপাতা রক্ষা করতে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানের বরজে পানি দিচ্ছেন দিনাজপুরের হিলির পানচাষিরা। পানচাষিরা বলছেন, এখনো যদি কোনো রোগবালাই দেখা দেয়নি। কিন্তু টানা তাপদাহের কারণে পানপাতা বড় হচ্ছে না। এছাড়া পানপাতার বরজ চারিদিক দিয়ে ঘেরা থাকে। বাতাসও ঢুকতে পারে না। তাই গরমের কারণে পানপাতা মরে যেতে পারে। তাই শ্যালো মেশিন দিয়ে পান বরজে পানি দিচ্ছেন পানচাষিরা। আর উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, পানচাষিরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন। সেজন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন তারা। রোববার (২৮ এপ্রিল) উপজেলার পানচাষিসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। 

উপজেলা ঘাসুরিয়া গ্রামের পানচাষি মো. মিন্টু মিয়া বলেন, ‘আমি ১০ শতক জমি ১০ বছরের জন্য বর্গা নিয়ে পানপাতা চাষ করেছি। প্রতিবছরই পানপাতা বিক্রি করে সংসার চালাই। কিন্তু এবার বৃষ্টির অভাবে পানপাতা বড় হচ্ছে না, বাজারেও তুলতে পারছি না। তাই শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে পানপাতার গাছ বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছি।’

আরেক পানচাষি মো. সাদেক আলী বলেন, ‘আমার নিজের ২ বিঘা জমিতে পানের বরজ আছে। আমাদের এই এলাকা পানপাতা চাষের জন্য উপযোগী। এলাকার প্রায় সকলেই অন্যান্য আবাদের পাশাপাশি পানপাতার চাষ করি। যা দিয়ে সবার সংসার চলে। কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রম ঘটেছে বৃষ্টির অভাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়ে পানপাতা সাধারণত কম বাড়ে। তবে এবার একবারেই আকারে ছোট। বাজারে তুলতে ক্রেতারা কিনতেই চাইবে না। তারপরও আছে গরমের কারণে পানপাতার গাছ মরে যাবার ভয়। তাই আমরা শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে পানপাতার গাছকে রক্ষার জন্য চেষ্টা করছি।’

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আরজেনা বেগম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হাকিমপুর উপজেলার খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নের ঘাসুরিয়া, খট্রা, মাধবপাড়া গ্রামের মাটি পানপাতা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এই এলাকায় ৪০ হেক্টর জমিতে ৩৫৫টি পানবরজ আছে।’ 

আরজেনা বেগম আরও বলেন, ‘এখনো পানপাতায় কোনো রোগ দেখা দেয়নি। তবে পানপাতার গরমের কারণে পানপাতার গাছ মরে যেতে পারে-এমন আশঙ্কায় পানচাষিরা আগে থেকেই শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি সেচ দিচ্ছেন।’

/ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন