প্রায় ছয় মাসের অবিরাম সংঘাতের পর আসন্ন দুর্ভিক্ষের সতর্কতা বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় ইসরায়েলকে গাজাবাসীর জন্য ‘জরুরি মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার’ নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আদালত এই নির্দেশ দেন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হওয়া সত্ত্বেও ভারী যুদ্ধ এবং অবিরাম বোমাবর্ষণে আবারও গাজা ভূ-খণ্ড কেঁপে ওঠে।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত রায়ে বলেছেন, ‘ইসরায়েল অবিলম্বে প্রয়োজনীয় মৌলিক পরিষেবা এবং মানবিক সহায়তার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহে বিলম্ব না করে নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।’
বিচারকরা বলেছেন, এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, বাসস্থান, পোশাক, স্বাস্থ্যবিধি এবং স্যানিটেশন প্রয়োজনীয়তা, সেই সঙ্গে গাজাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা সরবরাহ এবং চিকিৎসা সেবা।
আদালত বলেছেন, ‘গাজার ফিলিস্তিনিরা শুধু দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে না, বরং দুর্ভিক্ষ শুরু হচ্ছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা গাজা ভূ-খণ্ডের পরিস্থিতির আরও অবনতি বিবেচনায় সাহায্যের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের জন্য জানুয়ারিতে জারি করা আগের আদেশকে জোরদার করতে আদালতকে বলেছিল।
জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, দুর্ভিক্ষ ‘উত্তর গাজায় বাস্তবে পরিণত হওয়ার কাছাকাছি’ এবং গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ‘চলমান শত্রুতা এবং ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের সীমাবদ্ধতার কারণে’ ভেঙে পড়ছে।
যদিও ইসরায়ের যুদ্ধের ফলে ভূখণ্ডের বেশিরভাগ অংশকে বিধ্বস্ত মরুভূমিতে পরিণত করেছে। ইসরায়েল গাজার ২৪ লাখ মানুষের ওপর অবরোধ আরোপ করেছে। তবে শুধুমাত্র মাঝে মাঝে সাহায্য বিতরণের মাধ্যম সহজ কয়েছে। বিশুদ্ধ পানিরও অভাব থাকায় গাজাবাসীরা রাফাহ শহরের পশ্চিমে একটি ট্যাঙ্ক থেকে প্লাস্টিকের পাত্রে ভরতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিল।