২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার



দাম বেড়েছে খেসারি ডালের, কেজিতে ৩৫ টাকা

মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম || ১৮ মার্চ, ২০২৪, ০৮:৩৩ এএম
দাম বেড়েছে খেসারি ডালের, কেজিতে ৩৫ টাকা


দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে  খেসারির ডাল। চলমান রমজান মাসে ইফতারিতে পেঁয়াজু তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এই ডাল। তাই বাজারে  চাহিদাও বেড়েছে। সেই সুবাধে অসাধু ব্যবসায়ীরা সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫  টাকা পর্যন্ত দাম  বাড়িয়ে বিক্রি করছেন ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায়। রোজায় এই ডালের চাহিদা বেশি থাকায় সপ্তাহের মধ্যে তিন দফা দাম বাড়লো এই খেসারির। খেসারির মতো,  আরও একদফা দাম বেড়েছে চাহিদার শীর্ষে থাকা ছোলারও। সপ্তাহ ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের ডালের দামও কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। 

রমজানে ইফতারিতে চাহিদার শীর্ষে থাকে ছোলা। বছরে এই পণ্যের চাহিদা দুই লাখ মেট্রিক টনের বেশি। এর মধ্যে শুধু রমজানেই চাহিদা থাকে ১ লাখ টনের কাছাকাছি। রোজা শুরুর আগেই কয়েক দফা বেড়েছে ছোলার দাম। এবার রোজার ৬ষ্ঠ দিনে এসে বাড়লো আরও একদফা। পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৮ থেকে ১০৫ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে চাহিদা থাকায় অন্যান্য ডালের দামও বেড়েছে  কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট হাট বাজারে মুগডাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৮০, মসুর ১০৩ থেকে ১২৭ টাকা, মটর ৭৫ টাকা আর অ্যাংকর বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭৬ টাকা।

খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী  কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক  মোহাম্মদ মহিউদ্দিন  বলেন, ‘খেসারি ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে থাকে। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৩৫ টাকার মধ্যে। কারণ ভারত থেকে যে পণ্যগুলো আসে, সেখানে ৫ শতাংশ কর বসানো হয়েছে। তাই দাম বেড়ে গেছে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এম কে এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার আবদুল মান্নান বলেন, ‘সরবরাহ সংকট থাকায় দাম বেড়েছে খেসারিসহ বিভিন্ন ডাল ও পণ্যসামগ্রীর। ডলার সংকট ও ৫ শতাংশ কর বেশি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমদানিও কম। তাই দামের ওপর প্রভাব পড়েছে। রমজানের শুরুতে চাহিদা বাড়ায় ঘাটতি রয়েছে। চাহিদা কমলে কিংবা আমদানি হলেই  দাম কমে আসবে। আশা করি, দুই-একদিনের মধ্যে দাম কমে যাবে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন