দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে কাঁঠাল পাতার চাহিদা। কাঠাল পাতার বিক্রিও ভালো। ক্রেতারা বলছেন, তাদের বাড়িতে ছাগলের খাবারের জন্য তারা কাঠালের পাতা কেনেন। প্রতিদিন তাদের কাঁঠাল পাতার প্রয়োজন হয়। আর বিক্রেতারা বলছেন তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসা কাঁঠাল পাতা পাইকারি হিসেবে কিনে খুচরো বিক্রি করেন। এতে পতিমুঠোতে ২ টাকা লাভ থাকে। অন্যান্য পণ্য বিক্রির পাশাপাশি তারা কাঁঠালের পাতাও বিক্রি করে থাকেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কাঁঠালপাতা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
হিলি খাদ্য গুদাম মোড়ে কাঁঠাল পাতা কিনতে আসা হবিবর রহমান বলেন আমার বাড়িতে ৪টি ছাগল আছে। প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ মুঠো কাঁঠালপাতা লাগে। একমুঠো পাতা ১৩ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। হবিবর রহমান আরও বলেন তবে এক জোড়া (২ মুঠো) কাঁঠালপাতা ২৫ টাকা দাম ধরে।
আরেক ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার বাড়িতে ছাগল থাকে। এখনো ৫টি ছাগল আছে। ছাগল পালন আমার পেশায় পরিণত হয়েছে। নিজে ও পরিবারের সদস্যরা ছাগলের যত্ন নেই। সকালে খড়ভুষি মেয়েকে খেতে দেই। আর দুপুরের পরে কাঁঠালপাতা খেতে দেই। তাই আমার প্রতিদিন ৪ চারমুঠো কাঁঠাল কথার দরকার হয়। প্রতিদিন ১০০ টাকার কাঁঠালপাতা কিনতে হয় আমাকে।’
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘ছাগল পালনের লাভ হলো। অল্প-অল্প করে খরচ করতে হয়। আর একবারে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বিক্রি করা যায়। এছাড়া, কোরবানির সময় বাড়ির পালিত ছাগল কোরবানি ও দিয়ে থাকি।’
হিলি খাদ্য গুদাম মোড়ের কাঁঠাল পাতার বিক্রেতা সাদেক হোসেন বলেন, ‘হিলিতে আমার মতো আরও অনেকে অন্য ব্যবসার পাশাপাশি কাঁঠাল পাঠায় বিক্রি করে থাকেন। আমার পান-বিড়ির দোকান আছে। পাশাপাশি কাঁঠাল পাতা ও বিক্রি করে থাকি। প্রতিদিন ১০০ মুখোর মতো কাঁঠালপাতা বিক্রি হয়।’
সাদেক হোসেন আরও বলেন, ‘হিলির বাইরে থেকে যারা ভ্যান যোগে কাঁঠাল নিয়ে আসে। আমরা তাদের কাছে থেকে ১০ মুঠো কিনে ১৩ টাকা মুঠো দরে বিক্রি করি। তবে কেউ ১ জোড়া (২ মুঠো) নিলে ২৫ টাকা দরে বিক্রি করি।’
ঢাকা বিজনেস/ বুলু/