২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার



রংপুরকে উড়িয়ে ফাইনালে লিটনের কুমিল্লা

ক্রীড়া ডেস্ক || ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
রংপুরকে উড়িয়ে ফাইনালে লিটনের কুমিল্লা


বিপিএলের দশম আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে তারকা নির্ভর রাইডার্সদের উড়িয়ে পঞ্চম শিরোপার লক্ষ্যে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। এদিন কুমিল্লার তাওহিদ হৃদয়-লিটন দাসের ব্যাটে রীতিমতো উড়ে যায় রংপুর। ৬ উইকেটের জয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট পেল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। 

কুমিল্লার কাছে হারলেও সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি রংপুরের। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আবারও ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকবে সাকিবদের সামনে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মাঠে গড়াবে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি।

এর আগে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ারে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তুলে রংপুর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯৭ রান করেছেন নিশাম। জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভার ৩ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।

জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি কুমিল্লার। ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন ক্যারিবীয় তারকা সুনিল নারিন। ফজল হক ফারুকির বলে লেন্থ না বুঝেই ব্যাট চালিয়েছিলেন, তাতে টপ এজ হয়ে ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে। সোহানের দুর্দান্ত ক্যাচে গোল্ডেন ডাক খেয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান ওপেনার।

ইনিংসের প্রথম বলে উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে সেই ধাক্কা সামাল দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। লিটন খানিকটা দেখে-শুনে খেললেও আরেক প্রান্তে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন হৃদয়। ৩১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেছেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৬৪ রান করে এই টপ অর্ডার ব্যাটার ফেরায় ভাঙে ১৪৩ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি কুমিল্লার হাতে।

চারে নেমে চার্লস খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ৩ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। আর জয়ের কাছাকাছি গিয়ে ফিরেছেন লিটন। তবে তার আগে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক। তার ব্যাট থেকে এসেছে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৭ বলে ৮৩ রানের ইনিংস।

লিটন ফিরলেও জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি কুমিল্লার। আন্দ্রে রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সহজেই সেরেছেন মঈন আলি। রাসেল অপরাজিত থেকেছেন ২ রান করে। আর মঈন ১২ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।



আরো পড়ুন