২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



হিলিতে বেড়েছে আলু-সরিষার চাষ

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০৫:৩২ এএম
হিলিতে বেড়েছে আলু-সরিষার চাষ


দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে  আলু, সরিষা, গমসহ ভুট্টার চাষ। স্থানীয়রা বলছেন, এর আগে, এই উপজেলার কৃষকেরা শুধু ধানের চাষ করতেন। এখন তারা ঝুঁকছেন রবিশষ্য আবাদে। মাঠজুড়ে সরিষা, গম, ভুট্টার সমারোহ। কৃষকেরা বলছেন, নিত্যপণ্যের দামের উর্ধ্বগতির কারণে  তারা এখন নিজেদের প্রয়োজনে আমন ধান কাটার পর ওই জমিতেই রসিশষ্য চাষ করছেন। এসব রবিশষ্য নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রিও করা যাবে।  

উপজেলার তাঁতীপাড়া গ্রামের মো. বাবু হোসেন বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে ভোজ্যতেলের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিজের প্রয়োজনেই ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আগে আমন ধান কাটার পর জমি ফেলে রাখতাম। দু’বছর ধরে ওই জমিতে সরিষার চাষ করছি। গত বছর নিজের পরিবারের চাহিদা পূরণ করে বাজারে বিক্রিও করেছি। এই বছরও ওই ১ বিঘা জমিতেই সরিষার চাষ করেছি। ফলনও মোটামুটি ভালো হয়েছে। আশা করছি, কোনো প্রকার প্রাকৃকিত দুর্যোগ দেখা না দিলে ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবো।’ 

মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি আগে আমন ধান কাটার করার পর ৩ মাস জমিতে কোনো চাষ না করে ফেলে রাখতাম। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই বছর ৩০ শতাংশ জমিতে গমের চাষ করেছি। গম আবাদের খরচও দেখছি কম। এখন পর্যন্ত কোনো রোগবালাই দেখা দেয়নি। গম কাটার পর আবার ওই জমিতেও ইরি-বোরো চাষের পরিকল্পনা আছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ প্রণোদনাসহ সবধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আরজেনা বেগম ঢাকা বিজনেসকে বলেন,‘চলতি রবি মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলার  ১ পৌরসভাসহ ৩ ইউনিয়নে ৩ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। সরিষা চাষের জন্য ৩ হাজার ২০০ জন কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে রাসায়নিক সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। ১ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। আলুচাষিদের কোনো প্রণোদনা দেওয়া হয় না। ভুট্টার চাষ হয়েছে ৩৯৬ হেক্টর জমিতে।  ভুট্টা চাষের জন্য ৩০০ জন কৃষককে সার ও বীজ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ২০০ জন গম চাষিকে সার ও বীজ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। আর গমের চাষ হয়েছে ৭৫ হেক্টর জমিতে।’

আরজেনা বেগম আরও বলেন, ‘ধানের পাশাপাশি রবিশষ্য চাষে কৃষি বিভাগ সব ধরনের উৎসাহ ও সহযোগিতা দিচ্ছে।  উপ-সহকারী প্রকৌশলীরা ব্লকওয়ারি নিয়মিত তদারকি করছেন। কোথাও কোনো সমস্যার দেখা দিলে আমার পরামর্শ নিচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত রবিশষ্যে কোনো প্রকার রোগবালাই দেখা দেওয়ার খবর পাইনি। আশা করছি, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষক নিরাপদে তাদের উৎপাদিত রবিশষ্য ঘরে তুলতে পারবেন।’

/ঢাকা বিজনেস/



আরো পড়ুন