২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



হিলিবন্দরে যানজটের নেপথ্যে কী

আনোয়ার হোসনে বুলু, হিলি(দিনাজপুর) || ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০৫:৩২ এএম
হিলিবন্দরে যানজটের নেপথ্যে কী


দিনাজপুরের স্থলবন্দরে বাংলাদেশি ও ভারতীয় সহস্রাধিক পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করে। কিন্তু এখানে নেই কোনো নির্ধারিত ট্রাক টার্মিনাল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাকগুলো প্রতিদিন সকালে স্বদেশে ফিরে যাওয়ার সময় দেশি ট্রাকগুলো রোডে যত্রতত্র রাখা হয়। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।  সমস্যায় পড়তে হয় স্কুল-কলজেগামী শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের।  

ট্রাকচালক মো. শাহজামাল বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি নিজস্ব ট্রাক টার্মিনাল করার। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্তদের কোনো নজর নেই। হবে হচ্ছে বলে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে।  নিজস্ব ট্রাক টার্মিনাল না থাকায় সড়কের ওপর, ওয়েটব্রিজের সামনে রাত ও দিনের বেলায় ট্রাকগুলো পার্কিং করতে হয়। এতে অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। পথচারীরা বিব্রতবোধ করেন।’

বগুড়া থেকে হিলিবন্দরে  পণ্য নিতে আসা ট্রাকচালক মো. রফিক উদ্দনি বলেন, ‘আমরা বাইরে থেকে হিলিবন্দরে পণ্য নিতে আসি। সময় পার হলে আর বন্দরের ভেতরে ট্রাক প্রবেশ করা যায় না। তখন বাধ্য হয়ে কোনো ওয়েটব্রিজের সামনে বা রাস্তার ওপর ট্রাক পার্কিং করে রাতযাপন করতে হয়। এতে ট্রাকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার ভয় থাকে। অনেক সময় চোরেরা ট্রাকের ব্যাটারিসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যায়। তখন পড়তে হয় চরম বিপাকে। শুনতে হয় মালকিদরে গালি। হিলিবন্দর এলাকায় নিজস্ব ট্রাক টার্মিনাল থাকলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকতো।  রাতটা নিরাপদে কাটানো যেতো।’

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, ‘দেশি ও ভারতীয় ট্রাকের কারণে সকালে হিলিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে স্কুলে যাওয়া দায় হয়ে পড়ে। একটি স্থানীয় ট্রাক টার্মিনাল তৈরি হলে কিছুটা যানজট কমতো।’

হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডেএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিসয়ক সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম বলেন,‘হিলিবন্দরকে কেন্দ্র করে হিলিতে স্থানীয় ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত ট্রাক বন্দর থেকে পণ্য পণ্য নিতে আসে। তাই ট্রাকগুলো নির্ধারিত স্থানে রাখার জন্য একটি ট্রাক টার্মিনাল জরুরি। তাহলে ট্রাকগুলো নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকবে।এতে বন্দর এলাকায় যানজটও কমে আসবে।’

হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র মো. জামিল হোসেন চলন্ত ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলি চারমাথা মোড়ে প্রথমে সরকারিভাবে একটি ওয়েটব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। ওয়েটব্রিজ নির্মাণ হলে সেখানে কিছু ট্রাক পাকিংয়ের ব্যবস্থা হবে। এরপর বন্দরের যানজট নিরসনে স্থায়ী একটি ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/ 



আরো পড়ুন