এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমতে শুরু করেছে দেশি ও ভারতীয় রসুনের দাম। এক সপ্তাহ আগে (২৫ জানুয়রি) দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। আর ২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৪০ টাকা কমে ২০০ টাকা কেজি দরে। আর ভারতীয় বড় জাতের রসুন ২৮০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, রসুনের দাম কমেছে ঠিকই। আরও একটু কমলে সাধারণ ক্রেতাদের নাগলের মধ্যে আসতো।
এদিকে, বিক্রেতারা বলছেন, তারা পাইকারি বাজারে যখন, যেদামে পান, তার চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করেন। এক সপ্তাহ আগে দাম একটু বেশি ছিল। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়েছে। এখন সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে এসেছে। তারাও কম দামে বিক্রি করছেন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) হিলিবাজারে মো. জাফর আলী বলেন, ‘রসুনের দাম একটু কমেছে। গেলো সপ্তাহে প্রতিকেজি দেশি রসুন ২৪০ টাকা কেজি দরে কিনি। আর আজ কিনলাম ২০০ টাকায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘রসুনের দাম ১০০ টাকার নিচে হলে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য ভালো হতো।’
আরেক ক্রেতা মো. সোলাইমান আলী বলেন, ‘ভারতীয় রসুনের দামও কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। গত শুক্রবার প্রতিকেজি ভারতীয় রসুন কিনি ২৮০ টাকায়। আর আজ কিনলাম ২৪০ টাকায়। এতে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে, রসুনের দাম আরও একটু কমলে ভালো হতো।’
হিলি বাজারের রসুন বিক্রেতা মো. মোকারম হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলিবাজারে সিংহভাগ ভারতীয় রসুন বিক্রি হয়। এক সপ্তাহে আগে ২৬০ কেজি কিনে ২৮০ টাকায় বিক্রি করেছি। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিকেজি ভারতীয় রসুন কিনেছি প্রকারভেদে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে। আজ বিক্রি করছি ২৪০ টাকা কেজি দরে। তবে কোনো ক্রেতা ১ কেজি রসুন কিনলে ২৩০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।’
দাম কমার বিষয়ে মোকারম হোসেন বলেন, ‘বাজারে দেশি রসুন ওঠায় দাম কিছুটা কমে এসেছে। দেশি রসুনের সরবরাহ আরও বাড়লে দাম হয়তো আরও কমতে পারে।’