২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



চুয়াডাঙ্গায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ, বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ

মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা || ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ১২:০১ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ, বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্তরা


চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ নিচের দিকে নামছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ নেই। একইসঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে  শীতের তীব্রতাও বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। স্থানীয়রা বলছেন, সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে গোটা জনপদ। স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। একইসঙ্গে  হাসপাতালগুলোয় ঠাণ্ডজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, ‘শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চুয়াডাঙ্গার এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বাতাসের আদ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটারে নেমে এসেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার থেকে এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপমাত্রা আরো ২/১ দিন অব্যহত থাকবে। সামনে সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এতে তাপমাত্রা আবার বেড়ে যাবে।’

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতের কারণে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে ঠাণ্ডজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে সদর হাসপাতালের শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোয় ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, ‘শীতে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সর্তকতা অলম্বন করতে হবে। কয়েকদিন ধরে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।  তীব্র শীতে বেশি নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। টাটকা ও গরম খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। পানি ফুটিয়ে পান করাতে পারলে ভালো। আর শিশুদের সকাল-সন্ধ্যায় গরম পোশাক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। কোনোভাবেই বেশি ঠাণ্ডা লাগতে দেওয়া যাবে না।’



আরো পড়ুন