জাতীয় রপ্তানি ট্রফি (পদক) পেয়েছে ৭৩ প্রতিষ্ঠান। ৩২ শিল্পখাতের ব্যবসায়ীরা এই পদক পেয়েছেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত ৭৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৮টি স্বর্ণ, ২৫টি রৌপ্য এবং ১৯টি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। পণ্য রপ্তানিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গত ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানকে এই পদ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রপ্তানিকারকদের হাতে এই পদক তুলে দেন।
সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি পদক’ পেয়েছে হা-মীম গ্রুপের রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু করা হয়েছে। আরও ৯০টি চালু হবে। বৈশ্বিক অনেক অনেক বড় প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন ‘আমি স্বপ্ন দেখি আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ আমাদের রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। এরজন্য পোশাকের বাইরে অন্যান্য সম্ভাবনাময় পণ্য যেমন-আইটি, প্লাস্টিক, চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল খাতের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেবল পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর করা যাবে না। রপ্তানিযোগ্য আরও অনেক পণ্য আছে। যত বেশি পণ্য আমাদের রপ্তানিতে অন্তর্ভুক্ত হবে, তত বেশি দেশে রপ্তানি করা যাবে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং দেশ লাভবান হবে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে।’ তিনি আও বলেন, ‘বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী শক্তি আছে বলে তারা এগিয়ে যাচ্ছেন। উদ্যোক্তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান। এছাড়া রপ্তানি পদক প্রাপ্তদের মধ্যে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ এবং প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের পরিচালক উজমা চৌধুরী বক্তব্য দেন।সূত্র: বাসস
/ঢাকা বিজনেস/