তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের দেশে কে কোন ধর্মাবলম্বী বা কোন সম্প্রদায়ের, সেটি কখনো বিবেচনা করা হয় না। জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক। সেভাবেই সবাই মিলেমিশে একাকার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই একমাত্র অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে। সামনের নির্বাচনে এই কথাগুলো সবাইকে বিবেচনায় রাখতে হবে।’
শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের শান্তিনিকেতন সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশে যে স্বস্তি বিরাজ করছে, যারা নির্বাচন আসলে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায়, তারা যদি ক্ষমতায় আসে তবে মানুষের মাঝে এই স্বস্তি আর থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করার পর সারাদেশে কিভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালিয়েছিল এটি আপনারা দয়া করে ভুলে যাবেন না। তারা সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প যেমন ছড়ায়, তেমনি ফিলিস্তিনে যখন পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করা হয়, তখন কিছু বলে না। তারা ক্ষমতার জন্য সব করতে পারে। এদেরকে চিনে রাখতে হবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার দেশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বিধান করেছে, মানুষের মাঝে এখন স্বস্তি নিশ্চিত হয়েছে। বর্তমানে মানুষের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা এবং সামর্থ্য আছে বিধায় প্রতি বছর দুর্গাপূজা মণ্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, অন্যথায় এটি হতো না। এই বছর ৩৪ হাজারেরও বেশি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব হচ্ছে। প্রতিবছরই সারাদেশে কয়েকশ করে পূজামণ্ডপ বৃদ্ধি পায়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দেশ সবার। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। আমাদের বাংলাদেশে পূজা উৎসব শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তা নয়, সব সম্প্রদায়ের মানুষ সেই উৎসবে সামিল হয়। এটিই আবহমান বাংলার সংস্কৃতি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতায় আছেন বিধায় হিন্দু সম্প্রদায়সহ সমস্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বস্তি আছে।’
ঢাকা বিজনেস/এইচ