উত্তরের জনপদজুড়ে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হিমেল হাওয়া আর হাড় কাঁপানো শীতে জড়সড় হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের হিলির ছিন্নমূলসহ শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে পানামা হিলি পোর্টের শ্রমিকদের প্রচণ্ড শীতে আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। দিনের বেলা কাজকর্ম করতে পারলেও শীতের কারণে সন্ধ্যার পর কাজ না করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাদের। বন্দরে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, সন্ধ্যার পর শীতের কারণে কাজ করতে না পারায় তাদের মজুরি কমে গেছে। খুব কষ্টে সংসার চালাতে হচ্ছে তাদের।
বুধবার ( ১১ ডিসেম্বর) বন্দরের মালিকসহ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বন্দরের শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে কাজে যোগ দেই। আগে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করতে পারতাম। এখন শীতের কারণে সন্ধ্যার পর আর কাজ (ট্রাক থেকে পণ্য খালাস ও ভর্তি) করা যাচ্ছে না। তাই সন্ধ্যার পরপরই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।’
অপর শ্রমিক মো. তুষার হোসেন বলেন, ‘এমনিতেই বর্তমানে হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি আগের চেয়ে অনেকটা কমে গেছে। তারপর প্রচণ্ড শীত। হিমেল হাওয়া। দিনের বেলা কাজ করা গেলেও সন্ধ্যার পর আর শরীর চলে না। হাত-পা বাঁকা হয়ে আসে। তাই সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।’
শ্রমিক আসলাম আলী বলেন, ‘আগে যেখানে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা মজুরি পাওয়া যেতো, এখন শীতের কারণে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করতে পারছি। এতে মজুরি কমে গেছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে মজুুর পাচ্ছি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। কোনো কোনো দিন তারও কম। ফলে আমাদের সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।’
হিলি বন্দরের শ্রমিক প্রধান গোলাম মোর্শেদ ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘ঠাণ্ডার কারণে শ্রমিকেরা সন্ধ্যার পর কাজ করতে পারছেন না। মানুষের শরীরতো। শ্রমিককেরা তো আর মানুষের বাহিরে নয়। তাই তারা আগের মতো আর রাতে কাজ করতে পারছেন না। এতে শ্রমিকদের মজুরি কমে গেছে। শীত কমে আসলে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
ঢাকা বিজনেস/এইচ