ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি বছরে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৫০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৯৯৩ জন। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে এখনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার (৪ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশ করা সর্বশেষ তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০ জন। এই নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৭ জন। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৬ জন। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নতুন ২০ জনের মধ্যে বাঞ্ছারামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন, নাসিরনগরে ৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ২ জন, কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন। এছাড়া নবীনগর, আখাউড়া, আশুগঞ্জ ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাসের ৪ তারিখ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। সেই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯১ জন। আর অক্টোবর মাসের ৪ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ জন। এর মধ্যে ১ তারিখ ৮ জন, ৩ তারিখ ২৪ জন ও ৪ তারিখ ২০ জন। তথ্যবিবরণীতে অক্টোবরের ২ তারিখে আক্রান্ত বা সুস্থতার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এই ৪ দিনে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৭ জন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা. মো. একরামউল্লাহ বলেন, 'প্রায় প্রতিদিনই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর মিলছে। এ থেকে পরিত্রান পেতে নিয়মিত নিজেদের বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। পৌরসভাকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।' এ সময় জাতীয়ভাবে প্রকাশিত গাইডলাইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা বিজনেস/আজহার/এন