বাংলাদেশকে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্মভূমির বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা ও অনিবাসী বাংলাদেশীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. মোমেন বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও অভিন্ন মূল্যবোধ-উভয় ক্ষেত্রেই সুদৃঢ় সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীদের বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে ও উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করেন।
অনুষ্ঠানে ড. মোমেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ অবদানকারী হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সময়কালে বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে বাংলাদেশকে উগ্রবাদ, জিহাদি ও সন্ত্রাসের দেশে পরিণত করা হয়েছিল। সুখবর হল সেই দিন এখন শেষ হয়েছে। এখন দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন সূচকে ঈর্ষনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। বর্তমান বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে একটি উদীয়মান অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। দারিদ্র্য হ্রাসসহ আর্থসামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ ঈর্ষনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।’
মোমেন বলেন, ‘১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সালে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৩ দশমিক ২ শতাংশ, আর বর্তমানে আমাদের জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ একটি প্রাণবন্ত অর্থনীতিতে বিকশিত হয়েছে যা রপ্তানি ও জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির সাক্ষী।’
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি সারাবিশ্বের কাছে সাহস, আত্মমর্যাদা ও আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে তিনি স্বাধীনতার পর দুর্ভিক্ষ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ থেকে আজকের বাংলাদেশে রূপান্তরের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশকে পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা তখন ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছিলেন।
ঢাকা বিজনেস/এমএ/