২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে চায় ভিয়েতনাম

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৭:০৯ পিএম
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে চায় ভিয়েতনাম


২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে ভিয়েতনাম বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, ভিয়েতনাম বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির (এনএ) চেয়ারম্যান ভুং দিন হিউ  সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করে। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন এতথ্য জানান। 

সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির চেয়ারম্যান। 

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জানান, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ যৌথভাবে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, যোগাযোগ, কৃষি, মৎস্য ও সংস্কৃতি খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে পারে।

ভিয়েতনামের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ ভিয়েতনামের সঙ্গে ও প্রতিবেশী দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের সঙ্গে ভাল সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান।’

রাষ্ট্রপতি বলেন,‘বাংলাদেশ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীরা স্থানীয় বাজারে ব্যবহারের জন্য পণ্য তৈরির পাশাপাশি অন্যান্য বাজারে, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বের বাজারে রপ্তানি করার জন্য বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ খুঁজে পেতে পারেন। 

সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘ভিয়েতনাম ঔষধ, তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, টেক্সটাইল সামগ্রী, কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইলসহ আরও বাংলাদেশী পণ্য আমদানির কথা বিবেচনা করতে পারে।’

রাষ্ট্রপ্রধান ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস’ (আসিয়ান) এর ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ এর সদস্য হওয়ার জন্য ভিয়েতনামের পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেছেন।  

রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন যে, সাত বছর আগে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ভিয়েতনাম সরকার ও এর জনগণ অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির জন্য যথাক্রমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভিয়েতনামের মহান নেতা হো চি মিন-এর ঐতিহাসিক অবদানের কথাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে রাষ্ট্রপতি ট্রান দাই কুয়াং-এর বাংলাদেশ সফর ও আগস্ট ২০১৫-এ রাষ্ট্রপতির ভিয়েতনাম সফর ও নভেম্বর ২০১২-এ প্রধানমন্ত্রীর ভিয়েতনাম সফর দুই দেশের গঠনমূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি শক্ত ভীত তৈরি করেছে। 

দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির চেয়ারম্যানের সফরে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ঢাকা বিজনেস/এমএ/



আরো পড়ুন