হাওয়াইয়ের লাহাইনা শহরে ভয়াবহ দাবানলের ঘটনায় শক্তিশালী সতর্কীকরণ সাইরেন না বাজানোয় সমালোচনার মুখে পড়ে পদত্যাগ করেছেন মাউই ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির (এমইএমএ) প্রধান হারমান আন্দায়া। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) স্বাস্থ্যের কারণ উল্লেখ করে, এমইএমএ প্রশাসনের কাছে তিনি পদত্যাগ জমা দিয়েছেন। মাউই কাউন্টির এক বিবৃতির বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এই তথ্য জানিয়েছে।
দ্রুত ধাবমান অগ্নিশিখা শহরের উপর নেমে আসার পরিস্থিতি তৈরি হলে দ্বীপটির বিস্তৃত নেটওয়ার্ক সক্রিয় না করার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন হারমান আন্দায়া। দাবানলে জীবিতরা বলেছেন যে, তাদের কাছে অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে কোন সতর্কতা ছিল না।
নিহতদের অনেকেই তাদের বাড়িতে কিংবা গাড়িতে আটকা পড়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তারা পালানোর জন্য শেষ মুহূর্তে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই দাবানলে অন্তত ১১১ জন মারা গেছে বলে জানা গেছে।
অগ্নিকাণ্ডের আগে, স্থানীয় কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের সময় ও পরে সাইরেন সক্রিয় না করাসহ আন্দায়ার অনেকগুলো ভুল পদক্ষেপ বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের ক্ষুব্ধ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, সতর্কতা সাইরেন ও অন্যান্য সঠিক পদক্ষেপ নিলে আরও জীবন বাঁচানো যেত।
আন্দায়া বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন,‘সাইরেনগুলো প্রাথমিকভাবে সুনামির জন্য ব্যবহার করা হয়। সাইরেন বাজলে জনসাধারণকে উচ্চ স্থল খোঁজার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সেই রাতে যদি আমরা সাইরেন বাজিয়ে দিতাম, আমরা ভয় পাচ্ছিলাম যে মানুষ উঁচু স্থানে (পাহাড়ের মধ্যে) চলে যাবে, যেখানে দাবানল সক্রিয় রয়েছে।’
আমেরিকান একাডেমি অফ অডিওলজি বলেছে, এই সাইরেন একটি জেট প্লেন উড্ডয়নের সমতুল্য।
বিপর্যয়ের পর থেকে সমালোচনা বেড়েছে, বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেছেন কোনও সরকারী সতর্কতা জারি করা হয়নি।
জীবিত ব্যক্তিরা এএফপিকে বলেছে, তারা আগুনের বিষয়ে জেনেছে, যখন আগুন তাদের ঘিরে ফেলেছে। বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার ট্র্যাজেডির পরে সাহায্য পাঠাতে ধীরগতি করেছে। অনেকে বলেছে, তারা সিভিল গ্রুপের কাছ থেকে আরও সহায়তা পাচ্ছে।
ক্যাডেভার কুকুর ও তাদের হ্যান্ডলাররা বৃহস্পতিবার আরও মৃতদেহের জন্য দুর্যোগ অঞ্চলে চিরুনি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এখনও পর্যন্ত লাহেনা থেকে উদ্ধার হওয়া কয়েকটি লাশ শনাক্ত করা গেছে।
ঢাকা বিজনেস/এমএ/