তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘যখন যেখানে দরকার, সেখানেই থাকবে সরকার’-এ স্লোগান বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের অভীস্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সরকার।
শনিবার (১২ আগস্ট) সিংড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকাল ১০টায় এসএমএসের মাধ্যমে অবসর ভাতা প্রদান এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের কল সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পলক বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে- স্মার্ট সিটিজেন। একমাত্র শিক্ষকই তাদের শিক্ষার্থীদের স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। কারণ শিক্ষকরা হচ্ছেন- মোমবাতির মতো, নিজে জ্বলে মানুষ সমাজ দেশ আর বিশ্বকে আলোকিত করেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি নৈতিকতা, মূল্যবোধ, নেতৃত্ব এবং মানবিক গুণাবলীতে শিক্ষার্থীদের আলোকিত করেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর শিক্ষক আব্দুল হামিদের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু বলতেন, সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ চাই। আর এ সোনার মানুষ তৈরি করেন শিক্ষকবৃন্দ। বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের সংবিধানে পাঁচটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করেন। এর ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাকেন্দ্রীক চিন্তাধারা ৫০ বছর পরেও সারাবিশ্বের মানুষ অনুসরণ করছে। শিক্ষাকে অগ্রাধিকার প্রদান করে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন অনুসরণ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এমডিজি, এসডিজি’র মতো উন্নয়ন পরিকল্পনা।’
পলক আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে যুগোপযোগী প্রযুক্তি শিক্ষার বিকাশে ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর রূপকল্প প্রদান করেন। ওই সময়ে এটি অবাস্তব চিন্তা বলে সমালোচিত হলেও আজ তা অতি বাস্তব। বাংলাদেশ এখন প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় সারাবিশ্বের অগ্রগামী দেশ।’
ঢাকা বিজনেস/এইচ