১৯ মে ২০২৪, রবিবার



তথ্যমন্ত্রী
প্রিন্ট

তারেক-জোবায়দার মামলায় স্বাভাবিক রায় হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ০৩ আগস্ট, ২০২৩, ০৬:০৮ পিএম
তারেক-জোবায়দার মামলায় স্বাভাবিক রায় হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী


বিএনপির পছন্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকারই তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পাদ অর্জনের মামলা করেছিল বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী  ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ের করা মামলায়  তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিচারের রায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে।’বৃহস্পতিবার  (৩ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার এই মামলা দায়ের করেনি। আমাদের সরকার যদি প্রতিহিংসাপরায়ণ হতো, তাহলে আমরা মামলা করতাম, আর রায়ের জন্যও ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হতো না, অনেক আগেই রায় হতো।’ তিনি বলেন, ‘রায়ের  সঙ্গে-সঙ্গে বিএনপি একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। আজকে এবং আগামীকালও তাদের কর্মসূচি আছে। কিন্তু আমাদের সরকারের আমলে এই মামলা হয়নি। এই মামলা হয়েছে বিগত তত্ত্বাবধায়ক  সরকারের আমলে, যখন ইয়াজউদ্দিনকে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। বিশ্বব্যাংকে কর্মরত ফখরুদ্দীন সাহেবকে ধরে এনে তত্ত্বাবধায়ক  সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বানানো হয়েছিল। তাদের পছন্দের মানুষরাই যখন ক্ষমতায়, তখন এই মামলা দায়ের হয়েছিল, সেই মামলায় তাদের শাস্তি হয়েছে।’ 

রায় নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী  বলেন, ‘আইন-আদালত কোনো কিছুর ওপরই তো বিএনপির কোনো আস্থা নেই, কোনো কিছুকে তারা তোয়াক্কা করে না। শুধু ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে যায়। আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না। বিদেশিরা প্রয়োজনে আমাদের কাছে আসেন।’ 

তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।’

বুধবার রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা প্রকৃত অর্থে স্মরণকালের বিশাল জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছিল। এতেই প্রমাণিত হয়, দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে কতটুকু ভালোবাসে। এতেই প্রমাণিত হয়  শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ওপর দেশের মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও সমর্থন আছে।’ 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা রংপুর শহরে জেলা স্কুল মাঠে জনসভার ডাক দিয়েছিলাম কিন্তু কার্যত পুরো রংপুর শহরই জনসভাস্থলে রূপান্তরিত হয়। হুইল চেয়ারে বসে ৯৬ বছর বয়সী ভাষা সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা, বৃদ্ধ মহিলাসহ লাখ লাখ মানুষ সেখানে যোগ দিয়েছেন। মাঠের বাইরে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটারব্যাপী জনসভাস্থলের চেয়ে অন্তত ১০গুণ বেশি মানুষ ছিল।  শেখ হাসিনাকে সম্ভাষণ জানানোর জন্য মানুষের মধ্যে যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পেয়েছি, তাতে আমরা অভিভূত হয়েছি।’ 

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন