মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ার কংগ্রেসম্যান জো উইলসন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ এবং উভয় দেশের জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।’
শনিবার (২২ জুলাই) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ক্যারোলিনা থেকে নির্বাচিত এই কংগ্রেসম্যান বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘ দিনের অংশীদারিত্ব উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্যুরো অব সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এলিজাবেথ হর্স্ট এবং হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডিরেক্টর ফর সাউথ এশিয়া রিজিওনাল অ্যাফেয়ার্স ব্রায়ান লুটি অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
কংগ্রেসম্যান উইলসন বলেন, ‘এটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে পারস্পরিক সুবিধার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার একটি বড় সুযোগ।’
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করার সময় তিনি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দিকে দেশটির অগ্রগতি এবং দারিদ্র্য নিরসনে সাফল্য অর্জনের কথা উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে উইলসন জানান, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে তিনি চলতি সপ্তাহে প্রতিনিধি পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান তার স্বাগত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের বর্ণনা দেন।
ইমরান বলেন, ‘সরকার সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থন এবং মানবিক সহায়তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এলিজাবেথ হর্স্ট তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিগত ৫ দশকে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে এবং এই অংশীদারিত্বটি একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য আমাদের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা উপস্থাপিত।’
ব্রায়ান লুটি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক নীতিকে স্বীকৃতি দেয়, সম্মান করে এবং সমর্থন করে- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একইসঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের পাশাপাশি জাতিসংঘের সনদে উল্লেখিত আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিকে সম্মান করে।’
ঢাকা বিজনেস/এইচ