২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



উচ্চশিক্ষায় অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধের পরামর্শ ইউজিসি’র

স্টাফ রিপোর্টার || ১০ জুলাই, ২০২৩, ০৩:৩৭ এএম
উচ্চশিক্ষায় অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধের পরামর্শ ইউজিসি’র


দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধসহ অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী  শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‌‘বিশ্ববিদ্যালয় উপকৃত হয় এমন প্রয়োজনীয় খাতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।’ 

রোববার (৯ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পে-রোল অ্যান্ড স্মার্ট একাউন্টিং সিস্টেম’ বিষয়ে দুই দিনব্যাপী  প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ পরামর্শ দেন।

কাজী  শহীদুল্লাহ বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির অন্যতম সমস্যা ‘কালো টাকা’। ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে উঠলে কালো টাকার বিস্তার রোধ সম্ভব হবে।’

স্মার্ট একাউন্টিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের- এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান। 

 ইউজিসি) চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দ্রুত অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ইউজিসিকে এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে এবং অটোমেশনে কমিশনকে নেতৃত্ব দিতে হবে। অন্যথায়, উচ্চশিক্ষা খাত পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ 

প্রফেসর আবু তাহের বলেন, ‘ইউজিসি স্মার্ট একাউন্টিং সিস্টেম শুরু করেছে। এর মাধ্যমে ফরওয়ার্ডিং, ভাউচার, চেক প্রদান দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদন করা যাচ্ছে। এতে অপ্রোজনীয় ব্যয় বন্ধ হচ্ছে, দুর্ভোগ লাঘব এবং সময় সাশ্রয় হচ্ছে।’ 

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পে-রোল অ্যান্ড স্মার্ট একাউন্টিং সিস্টেম চালু রয়েছে। আগামীতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি চালু করা হবে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং নজরদারি সহজ হবে এবং অপ্রয়োজনীয় খাতের ব্যয় চিহ্নিত করা যাবে। সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও গতিশীলতা বাড়বে এবং অডিট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে।’

ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘সফটওয়্যার ব্যবহারে বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ প্রেরণ সহজতর হলেও এর শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’ 

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন