কালজয়ী গানের সুরকার আলম খান এবং মঞ্চ, টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনয়শিল্পী শর্মিলী আহমেদ। গত বছরের এই দিনে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তারা। চলচ্চিত্র জগত হারিয়েছে দুই গুণী মানুষকে।
বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে আলম খানকে বলা হয় সুরের জাদুকর। তার সুরে গান গেয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন অনেক শিল্পী। স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম এই গীতিকার ১৯৪৪ সালের ২২ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের বানিয়াগাঁতী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘কী জাদু করিলা’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’– এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুর করেছেন আলম খান।
রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন বাংলা গানের কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান। ২০১১ সালে আলম খানের ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। দীর্ঘদিন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার।
অন্যদিকে মঞ্চ, টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনয়শিল্পী শর্মিলী আহমেদ অভিনয় শুরু করেন মাত্র ৪ বছর বয়সে। তার প্রকৃত নাম মাজেদা মল্লিক। ১৯৪৭ সালের ৮ মে তার জন্ম। রাজশাহী বেতারের শিল্পী ছিলেন তিনি। ষাটের দশকে চলচ্চিত্রাঙ্গনে নাম লেখান শর্মিলী। তার স্বামী রকিবউদ্দিন আহমেদও ছিলেন পরিচালক। তার নির্মিত ‘পলাতক’ ছবিতে অভিনয় করেছেন শর্মিলী আহমেদ। স্বাধীনতার আগে উর্দু ছবিতেও তিনি অভিনয় করেন। পরে ‘রূপালী সৈকতে’, ‘আগুন’, ‘দহন’-এর মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শক প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই নন্দিত অভিনেত্রী। মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিনয়জীবনে মায়ের চরিত্রে এত বেশি অভিনয় করেছেন যে বিনোদন অঙ্গনে তিনি সবার কাছে ‘মা’ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। সবাই তাকে ‘শর্মিলী মা’ বলেই ডাকতেন। প্রায় ৪০০ নাটক ও ১৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। গত বছরের ৮ জুলাই চিরনিদ্রায় শায়িত হন অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ। ৭৫ বছর বয়সী এ অভিনেত্রী দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
ঢাকা বিজনেস/এন/