০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার



অর্থনীতি
প্রিন্ট

রোববার শুরু হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক || ০১ জানুয়ারী, ২০২৩, ০২:০৪ পিএম
রোববার শুরু হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা


রোববার (১ জানুয়ারি) শুরু হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩। নতুন বছরের প্রথম দিন মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে মেলার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। 

পূর্বাচলে স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণে দ্বিতীয়বারের মতো বসছে বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্য মেলা। 

চীনের বিখ্যাত ক্যান্টন ফেয়ারের আদলে নির্মিত হয়েছে মেলার মূল ছাউনি। নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশিন সেন্টার। মূল ছাউনির ভেতরে বিশাল দুটি হলঘর রয়েছে। প্রতিটির আয়তন ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার। হল ‌‘এ’ এবং হল ‘বি’র ভেতরে রয়েছে অসংখ্য প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন এবং স্টল। এই মূল ছাউনির বাইরেও রয়েছে কিছু প্যাভিলিয়ন এবং স্টল। মূল হলের উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব পাশে রয়েছে আরো বেশ কিছু স্টল। হলের বাইরে পশ্চিম পাশে রয়েছে দ্বিতল কার পার্কিং। 

এবার মেলার প্রবেশ ফি ৪০ টাকা। ছোটদের জন্য ২০ টাকা। শিশুদের খেলাধুলার জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রয়েছে খাবারের জায়গা। এছাড়া সেমিনার, বিজনেস মিটিং এবং ঘুরাফেরার জন্যও পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। 

জানা গেছে, শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর, ২০২২) দিবাগত রাত ৩টার মধ্যে স্টল নির্মাণকাজ এবং প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সম্পন্ন করার নির্দেশনা ছিল। শনিবার পুরো মেলা প্রাঙ্গণ উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হবে। 

এবার সব মিলিয়ে স্টল বা স্থাপনা থাকছে ৩৩১টি। এবার বিদেশী স্টল ১৭টি। বাণিজ্য মেলা পরিচালক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী জানান, ৩৩১টি স্টলের মধ্যে ৫৭টি প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন। মেলায় অংশ নিচ্ছে সিঙ্গাপুর, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১০টি দেশ। গতবারের চেয়ে এবার স্টল বেড়েছে ১২৬টি। 

আরও পড়ুন-বাণিজ্য মেলায় সবার আগে প্রস্তুত ভিসতা প্যাভিলিয়ন

গত বছর শেরে বাংলা নগর থেকে পূর্বাচলে চলে যায় বাণিজ্য মেলা। ঢাকা থেকে পূর্বাচলে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা যাকে বলা হয় ৩০০ ফিট। রাস্তার নির্মাণ কাজ এবং ধুলিতে গতবার দর্শনার্থীদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এছাড়া করোনা’র প্রকোপে দর্শনার্থী কম ছিল। ইপিবি বলছে, এবার রাস্তার ভোগান্তি থাকবে না। তবে সরেজমিনে দেখা গেছে বাস্তবতা ভিন্ন। ৩০০ ফিট রাস্তার নির্মাণ কাজ এখনো চলছে। একপাশ চালু রেখে অন্যপাশে কাজ চলছে। ধুলোও খুব একটা কমেনি।  

ভোগান্তির খবর রয়েছে আরেকটি। কাঞ্চন ব্রিজ থেকে ভোগড়া বাইপাস পর্যন্ত চারলেন রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। ঠিক যখন বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে, তখন মেলার সামনে চলছে ওই কাজ। ফলে রাস্তার একপাশ বন্ধ রয়েছে। উচিত ছিল মেলার সামনের অংশের কাজটুকু অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেলার আগেই শেষ করা। এছাড়া মেলা থেকে বের হয়ে ঢাকার দিকে আসতে হবে কাঞ্চন ব্রিজের নিচের রাস্তা দিয়ে। সেটিও মানসম্মত নয়। 

জানা গেছে, মেলায় যাতায়াতের জন্য কুড়িল বিশ্বরোড থেকে প্রতিদিন ৫০টি দ্বিতল বাস চালু থাকবে। ছূটির দিনগুলোতে বাস থাকবে ১৫০ টি। 

গত বছর মেলায় প্রায় সাড়ে ৯ লাখ ক্রেতা-দর্শনার্থী হয়েছিল। এবার সে সংখ্যা অনেক বাড়বে বলে সবার প্রত্যাশা। গতবার ১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রপ্তানি আদেশ মিলেছিল। বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৮০ কোটি টাকার পণ্য। এবার বিক্রি এবং রপ্তানি আদেশ আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকা বিজনেস/এম 



আরো পড়ুন