সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আর রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে পার্থক্য আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে তারা রাজনৈতিককর্মী আর সন্ত্রাসী গুলিয়ে ফেলেছেন।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে ‘সংবাদপত্রে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ সাড়ে ১৪ বছরে জাতির অনেক অর্জন আছে এটা মির্জা ফখরুল সাহেব স্বীকার করে নিয়েছেন। সরকার কারো ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে না। কিন্তু যারা আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে ও এখনও করছে, মির্জা ফখরুল সাহেবদের নেতৃত্বে যারা এখনো রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া ভাংচুর করছে, তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য ‘পদত্যাগের দাবিতে মানুষ রাস্তায় নেমেছে দেখে সরকারের সিংহাসন টলমল করছে’ এর জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘রিজভী সাহেব কি এটা জেগে বলেছেন না ঘুমিয়ে বলেছেন ও তার মানসিক স্বাস্থ্য কেমন -সেটি আমার প্রশ্ন। দেশে কোথাও তারা তাদের কর্মীদেরও নামাতে পারেনি, সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা। আসলে ২০০-৪০০ মানুষ নিয়ে তারা মিটিং করতে অভ্যস্ত এখন দু’-চার হাজার দেখে মাথাটা নষ্ট হয়ে গেছে, এই হচ্ছে সমস্যা।’
আওয়ামী লীগ সরকার জনকল্যাণেই উচ্চাভিলাষী বাজেট দেয় ও তা বাস্তবায়ন করে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবারই বাজেট পেশ ও পাস হওয়ার পর সিপিডি, বিএনপি, টিআইবি এবং আরো কিছু সংগঠন যে নানা ধরনের বক্তব্য দেয়, তার মধ্যে একটি বক্তব্য সবসময় থাকে যে, ‘এই বাজেট উচ্চাভিলাষী, বাস্তবায়নযোগ্য না এবং এটি আম জনতার কোনো কাজে আসবে না।’ অথচ গত ১৪ বছরে বাজেট বাস্তবায়নের গড় হার হচ্ছে ৯৭ শতাংশ। করোনা না থাকলে এই হার হতো ৯৮ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থাৎ আমাদের বাজেট ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। আবার এটি যে দরিদ্র মানুষের কাজে লেগেছে তার প্রমাণ হচ্ছে দারিদ্র্য ৪১ থেকে নেমে ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আম জনতার কাজেও লেগেছে সেটির প্রমাণ হচ্ছে আমাদের মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে ২ হাজার ৮০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে ও মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে।’
ঢাকা বিজনেস/এমএ