১৪ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার



প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে চড়লেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা বিজনেস রিপোর্ট || ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ০২:১৪ পিএম
প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে চড়লেন প্রধানমন্ত্রী


স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যদিয়ে গণপরিবহনের আধুনিক যুগে একধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ। এসময় সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন শেখ রেহানা। 

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টায় উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধন করলেন তিনি। এরপর বেলা ২টার দিকে নিজে টিকিট কেটে প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে উঠছেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে বহনকারী মেট্রোরেলটি চালাচ্ছেন নারী চালক মরিয়ম আফিজা।

এদিকে, যে কোচে প্রধানমন্ত্রী উঠেছেন, সেখানে তাঁর এবং বোন শেখ রেহানার মাঝে বসিয়েছেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে। 

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও যারা মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হয়েছেন, তারা হলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মাদ্রাসা শিক্ষক, ইমাম, অন্যান্য ধর্মযাজক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, পোশাক শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, দোকানি/বাদাম বিক্রেতা/সবজি বিক্রেতা, মেট্রোরেলের শ্রমিক, প্রতিরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলাকারীবাহিনী, গণমাধ্যমকর্মী, কূটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগী, একজন দৃষ্টি/বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। সবমিলিয়ে দুই শতাধিক মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম মেট্রোরেল ভ্রমণ করছেন। 

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার গণমাধ্যমকে জানান, বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার মানুষরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রীদের তালিকায় রয়েছেন।

উল্লেখ্য, মেট্রোরেলের স্বপ্নযাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় এ মেগা প্রকল্পটির অনুমোদন দেন। ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল লাইন (উত্তরা-মতিঝিল) নির্মাণ কাজ ২৬ জুন ২০১৬ সালে শুরু হয়। আজ এই লাইনের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ উদ্বোধন হবে।

জনসাধারণের জন্য স্বপ্নের এই বাহনের দ্বার খুলবে প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। আপাতত সীমিত যাত্রী নিয়ে চলবে। যাতে যাত্রীরা ১০ মিনিটেই এই পৌনে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবেন।

উল্লেখ্য, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার পথে ৯টি স্টেশন রয়েছে। স্টেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ী), উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও। উদ্বোধনী দিনে শুরু ও শেষের স্টেশন খুলে দেওয়া হয়েছে। স্টেশনে লিফট, এস্কেলেটর ও সিঁড়ি দিয়ে ওঠা যাচ্ছে। 

তিনতলা স্টেশন ভবনের দ্বিতীয় তলায় টিকিট কাউন্টার। তিন তলায় প্ল্যাটফরম। শুধু টিকিটধারী ব্যক্তিরা ওই তলায় যেতে পারছেন। মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেনে থাকছে ছয়টি কোচ। এতে ৫৪ জন বসতে পারছেন। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে যেতে পারছেন ৩০৬ জন। নারীদের জন্য আলাদা কোচ রয়েছে। আবার তারা চাইলে সবার সঙ্গে শেয়ারও করে যেতে পারবেন। ২০১২ সালে মেট্রোরেল প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ২০১৭ সালে মূল কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন