২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



‘বিদ্যুৎসহ সবকিছু ব্যবহারে কঠোর সংযম বজায় রাখুন’

স্টাফ রিপোর্টার || ০৪ জুন, ২০২৩, ১১:০৬ পিএম
‘বিদ্যুৎসহ সবকিছু ব্যবহারে কঠোর সংযম বজায় রাখুন’


বর্তমান অস্থির বিশ্ব পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশবাসীকে বিদ্যুৎসহ সব জিনিস ব্যবহারে কঠোর সংযম বজায় রাখতে হবে। বিশ্বের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কতদিন স্থায়ী হবে তা কেউ বলতে পারে না।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। পৃথিবীতে এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো বিশ্ব পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তবে, আমরা আমাদের দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করছি।’

রোববার (৪ জুন) সংসদে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে আনীত শোক প্রস্তাবে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য সংকট, মূল্যস্ফীতি, পরিচালনা ও পরিবহন ব্যয়, বিদ্যুতের ঘাটতি বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে সারাবিশ্বে খাদ্য সংকট, মূল্যস্ফীতি, পরিচালনা ও পরিবহন ব্যয়, বিদ্যুতের ঘাটতি এবং তার ওপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রতিটি মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। এখন জ্বালানি কেনা খুবই কঠিন। অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

সরকার কাতার ও ওমানের সঙ্গে জ্বালানি ক্রয়ের চুক্তি করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতোমধ্যে কয়লা কেনার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাতে আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু করতে পারি। সরকার জলবিদ্যুৎ আমদানির ব্যবস্থাও নিয়েছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানি তেল সংকটের কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে।

ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে জ্বালানি ঘাটতি রয়েছে। আছে লোডশেডিং বা বিদ্যুতের সীমিত ব্যবহার। খাবার থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম বেড়েছে। এমনকি উন্নত দেশগুলোতেও অনেক লোক তাদের চাকরি হারাচ্ছে।’

বিশ্বব্যাপী একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ কওের তিনি বলেন, “আমি জানি না আগে কখনো এমন হয়েছে কিনা। হতে পারে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।”

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন