কক্সবাজারে পাঁচ লাখ পিস ইয়াবা পাচার মামলায় এক রোহিঙ্গাসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিতদের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও একবছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২২ মে) কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এই রায় দেন। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ( পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন, মো. মহররম আলী, মো. আমান উল্লাহ, নুর আলম, আবদুল মুনাফ, রোহিঙ্গা আবদুল পেডাম, আব্দুশ শুক্কুর ও মো. জাহিদ হোসেন। রায় দেওয়ার সময় আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম। আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসাইন, অ্যাডভোকেট আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও অ্যাডভোকেট তাজমিন হুদা চৌধুরী সেতু।
মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি রোহিঙ্গা শরণার্থী আবদুল পেডামকে সাজা ভোগের পর মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রায়ে কক্সবাজারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথীর বরাত দিয়ে পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, গত ২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া বড় ডেইল উপকূলবর্তী সাগরপথে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান পাচারের খবর পায় কোস্টগার্ড। পরে কোস্টগার্ডের একটি দল সাগরে সন্দেহজনক একটি মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পেয়ে থামার জন্য নির্দেশ দেয়। তখন ট্রলারে থাকা লোকজন দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। তখন তাদের ধাওয়া দিয়ে চাঁদনী নামের একটি ট্রলার জব্দসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে কোস্টগার্ড। এ সময় ট্রলারের ভেতর বিশেষ কৌশলে রাখা দুটি বস্তায় পাওয়া যায় ৫ লাখ ইয়াবা।
এ ঘটনার পরদিন (২০ সেপ্টেম্বর) কোস্টগার্ড বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা করে। তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৮ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর গত ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দেন আদালত।
ঢাকা বিজনেস/আনাম/এনই/