দেশের অন্যতম উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের রামপালে তীব্র লবনাক্ততার মধ্যেও বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। লবন সহিষ্ণু জাতের উন্নত বীজ বপন করে উপকূলীয় এ অঞ্চলে বৃদ্ধি পেয়েছে বোরো ধানের আবাদ । রোববার (১৪ মে) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এচিত্র দেখা যায়।
রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী মন্ডল বলেন, তীব্র দাবদাহ, লবনাক্ততার প্রভাব ও মিষ্টি পানির অভাবে হাজার হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে থাকতো। কৃষকদের লবন সহিষ্ণু জাতের উন্নত জাতের বীজ ধান, সার ও কৃষি উপকরণ এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রামপালের কৃষকরা এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছর বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর কিন্তু তা বেড়ে ৪ হাজার ৭০১ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে।
রামপাল কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নে ৫৩৫ হেক্টর, উজলকুড় ইউনিয়নে ২ হাজার ৪১২ হেক্টর, বা্তইলা ইউনিয়নে ১ হাজার ৬ হেক্টর, রামপাল সদর ইউনিয়নে ৪৮২ হেক্টর, রাজনগর ইউনিয়নে ১০৮ হেক্টর, হুড়কা ইউনিয়নে ২৮ হেক্টর, পেড়িখালী ইউনিয়নে ৪২ হেক্টর, ভোজপাতিয়া ইউনিয়নে ৯ হেক্টর, মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নে ৬৭ হেক্টর ও বাঁশতলী ইউনিয়নে ১২ হেক্টর জমিসহ মোট ৭ হাজার ৭০১ হেক্টর জমি আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজার ৬৬১ মে. টান চাল উৎপাদন হবে।
উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের কৃষক মোন্তাজ মোল্লা বলেন, কৃষি অফিসের মাধ্যমে আমারা প্রশিক্ষণসহ বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ সময়মতো পেয়ে চাষাবাদ করে এবার ভালো ফসল পেয়েছি। আশা করি আগামীতেও কৃষি অফিস থেকে আমাদের মতো গরীব কৃষকদের একই ভাবে সার, বীজ দিলে আমরা কৃষিতে আরো ভালো ফসল ফলাতে পারবো।
ঢাকা বিজনেস/এমএ