২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



মোখার প্রভাব নেই বাগেরহাটে

বাগেরহাট সংবাদদাতা || ১৪ মে, ২০২৩, ০৫:৩৫ এএম
মোখার প্রভাব নেই বাগেরহাটে


ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে বাগেরহাটের উপকূলবাসী আতঙ্কিত থাকলেও এর কোনো প্রভাব নেই  জেলা শহরে। রোববার (১৪ মে) থেকেই প্রচন্ড গরমের সঙ্গে রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করছে। জেলার কোথাও বৃষ্টি, বা ঝড়ো হাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। জনমানুষের জীবন যাত্রায়ও কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি ঘূর্ণিঝড়ের এই আগাম সংকেত। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাট শহরের রিকশা চালক ছগির হোসেন বলেন, ‘খবর শোনার পরে খুব চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু সকাল থেকে আবহাওয়া ভালো হওয়ায় রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। আল্লাহ যেন কোনো বড় বিপদ না দেয়।’

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জামাল শরীফ বলেন, ‘আমরা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সতর্ক থাকার জন্য মাইকিং করেছি। উপজেলা সদরে বসবাসরত মানুষের মধ্যে এ ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাব লক্ষ করা যায়নি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’

সকালে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজিজুর রহমানের বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব বাগেরহাটে লক্ষ করা যাচ্ছে না। সকাল থেকে রৌদ্রজ্জল আবহাওয়া বিরাজ করছে। তার পরেও ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৫ জন  ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৪৪৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৯ উপজেলায় ৯টি মেডিক্যাল টিম। রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কয়েকশ স্বেচ্ছা সেবকদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোট কথা হলো দুর্যোগ কালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য  সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় বাগেরহাট প্রস্তুত।’

সকাল ১০টার দিকে বাগেরহাটের মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, ‘মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করে উত্তর উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর ফলে মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’

বাপ্পা/এইচ



আরো পড়ুন