বাগেরহাট জেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিয়লায় প্রস্তুত রাখা রাখা হয়েছে ৪৪৬ আশ্রয়ণ কেন্দ্র। ইতোমধ্যেই সুন্দরবন থেকে দেশি-বিদেশি সব পর্যটকসহ বনজীবীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ কাজ শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় বাগেরহাটের ফিশিং ট্রলারগুলো সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের প্রধান মৎস্যবন্দর, কেবি ফিশারি ঘাট, রায়েন্দা, মোংলা, রামপালে আশ্রয় নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজিজুর রহমানি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, মোংলাবন্দরে অবস্থানরত ৯টি বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ আশ্রয়ে নোঙ্গর করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পশুর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসক জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করে জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা রাখা হয়েছে জেলার ৪৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ঘূর্ণিঝড়ের সময় জেলার ৯টি উপজেলায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৫ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মেডিক্যাল টিম। নৌবাহিনী, কেস্টগার্ড, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিসসহ তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহিন মজিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় মোংলা বন্দরে কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। বন্দরের পশুর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজকে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মোংলা বন্দরে পণ্যবাহী ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। ওই সব জাহাজকে নিরাপদ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, দুই নম্বর সর্তকতা সংকেত থাকায় এখনো মোংলাবন্দরে জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ চলছে। বন্দরে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হলেই পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করা হবে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবন থেকে দেশি-বিদেশি সব পর্যটকসহ বনজীবীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কোস্টগার্ডের সঙ্গে কাজ শুরু করছে বন বিভাগ। শুক্রবার (১২ মে) দুপুরের মধ্যেই সুন্দরবন থেকে দেশি-বিদেশি সব পর্যটকসহ বনজীবীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/