২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বললে শাস্তি: আইনের প্রস্তাব

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ০৯ এপ্রিল, ২০২৩, ০৯:৩৪ এএম
মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বললে শাস্তি: আইনের প্রস্তাব


স্বাধীনতার ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শাস্তি হওয়া উচিত। তাই ‘স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তির জন্য ও দেশকে একটা সেফ গার্ড দেওয়ার জন্য, ইতিহাস বিকৃতকারীদের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে মিথ্যাচারকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শাস্তি দেওয়ার জন্য’ সংসদে আইন পাসের প্রস্তাব দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। রোববার (৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই আইন প্রণয়নের দাবি জানান। 

মোজাম্মেল হক বলেন, 'ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতকরা শুধু একটা মানুষকে হত্যা করেনি, তারা একটি স্বাধীন সংসদ নয়, একটা জাতিকে হত্যা করেছিল। বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পদদলিত করেছিল। এসব ঘটনা চোখ মেলে দেখা দরকার। তা না হলে বার বার আমাদের হোঁচট খেতে হবে।'

মন্ত্রী বলেন, '১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড, চার নেতার হত্যাকাণ্ড, সংবিধানে কাটাছেঁড়া এই সব কিছুই ছিল এদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলা। সেই কারণে ২৩ বছরের শোষণ-বঞ্চনার পরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা এ মূল ৪ নীতির উপর ভিত্তি করে দেশ পরিচালিত হচ্ছিল। তারা এই ধারনাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল।'

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি শুনেছি ল কমিশন নাকি এ ধরনের একটি আইনের প্রস্তাবনা করেছে, এ আইনটিকে যাতে জাতীকে সেফ গার্ডে রাখার জন্য এ সংসদে পাশ করা যায় সে আহ্বান জানাব।’

বিএনপি নাম উল্লেখ না করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, 'তারা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত করছে। আমি মনে করি, সংসদ যেহেতু সমস্ত কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু, তাই এখানে মিথ্যাচার, ইতিহাসের বিকৃতি, তারা যখনই সময় পায় তখনই সে প্রচেষ্টা চালায়। এই রাষ্ট্রের সার্বভৌমিত্ব আরও বেশি হুমকির মুখে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু জেল হত্যা, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন, তিনিই দেশবিরোধী স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তির জন্য এ আইনটি করতে পারেন।'

ঢাকা বিজনেস/এন/



আরো পড়ুন