২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ‘এগ্রিমেন্ট অন মুভমেন্ট অব ট্রাফিক-ইন-ট্রানজিট অ্যান্ড প্রোটোকল’ চুক্তি সই হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহজ করার লক্ষ্যে দুই দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। বুধবার (২২ মার্চ) ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ভুটানের পক্ষে শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী কর্মা দর্জি এই চুক্তিতে সই করেন।
এ সময় ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব দাশ তাশিওমাং; শক্তি ও নবায়নযোগ্য সম্পদ বিষয়ক সচিব দাশ কর্মা শেরিং এবং ভুটান চেম্বার অব ইন্ডস্ট্রিজের সভাপতিসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘যুগান্তকারী এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজ হবে। বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে। এর মাধ্যমে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক ভ্যালুচেইন সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে চায়। এর অংশ হিসেবে চারিদিকে স্থলভাগবেষ্টিত ভুটানকে বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তির আওতায় বিমান, রেল, স্থল, নৌবন্দর ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভুটানের পণ্য রপ্তানি ও আমদানি করলে বাংলাদেশ বিভিন্ন ফি ও চার্জ পাবে। এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে। ট্রানজিট চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলো আরও কর্মক্ষম হবে। রাজস্ব আয় বাড়বে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানের পর ভুটানের মন্ত্রী, সচিব ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগনের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী কৃষিখাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বিশেষ করে মাশরুমসহ কৃষিপণ্যের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখ্য, তিন দফা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি ও এর আওতায় প্রোটোকল চূড়ান্ত করা হয়। গত ১৩ মার্চ মন্ত্রিসভায় সেটি অনুমোদিত হয়। এই চুক্তি এর আগে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (টিটিএ)কে অধিকতর কার্যকর করবে। স্বাক্ষরিত চুক্তিটি উভয় দেশ রেটিফিকেশন করার পরে কার্যকর হবে।
ঢাকা বিজনেস/এনই/
