২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি ছাড়াবে ১১০০ কোটি ডলার

স্টাফ রিপোর্টার || ১৬ মার্চ, ২০২৩, ০৯:৩৩ এএম
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি ছাড়াবে ১১০০ কোটি ডলার


আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে রফতানি ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এ জন্য দেশটির চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের মান রক্ষা ও বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে হবে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘যুক্তরাজ্যের বাজারে রপ্তানি সম্প্রসারণ এবং বৈচিত্র্যকরণ’ শীর্ষক অংশীজনদের মতবিনিময় অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে এতথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টেকগ্রেশান ফর ডেভেলপমেন্ট (র‍্যাপিড) এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। 

প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হতো ৫০ কোটি ডলারের পণ্য। দুই যুগের ব্যবধানে ২০২২ সালে এসে দাঁড়ায় ৫০০ কোটি ডলারে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে রফতানি ১১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। 

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র‍্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. ফয়জুল ইসলাম, এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এইচ এম এহসান, সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) সহকারী উন্নয়ন পরিচালক ড. ডানকান ওভারফিল্ড।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এলসির বিকল্প বাণিজ্য পদ্ধতি চালুর কথা ভাবতে হবে। কারণ, এলসি ‘জটিল ও সময়সাপেক্ষ’ একটি  পদ্ধতি। একইসঙ্গে এর চেয়ে কম সময় ও কম খরচে এলসির বিকল্প আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিচালনা পদ্ধতি চালুর দাবি করেন তারা। 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ দাবির বিষয়ে বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করা সবচেয়ে নিরাপদ। কারণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অনেক ধরনের জটিলতা ও ধোঁকাবাজির সুযোগ থাকে। সেটি যাতে না ঘটে তাই এলসি পদ্ধতি নিরাপদ বলে আমি মনে করি। তবে এলসির বিকল্প পদ্ধতিতে বাণিজ্যের চিন্তা আমার কাছে নতুন। বিষয়টি নিয়ে আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখবো।

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন