২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



কক্সবাজারে পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে বিদেশি শুঁটকি

তাফহীমুল আনাম,কক্সবাজার || ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৪:০২ পিএম
কক্সবাজারে পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে বিদেশি শুঁটকি


কক্সবাজারে পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে শুঁটকি। ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটন মৌসুমে দৈনিক গড়ে প্রায় দুই কোটি টাকার সামুদ্রিক শুঁটকি বিক্রি। আবার পর্যটকের চাপ বাড়লে  বিক্রি বেড়ে যায় প্রায় তিনগুণ। ফলে বাড়তি চাহিদা মেটাতে  মিয়ানমার, ভারত ও পাকিস্তান থেকে  শুঁটকি আনা হচ্ছে। 

ব্যবসায়ীরা  জানান, শহরের বড় বাজার,বার্মিজ মার্কেট, লাবনী পয়েন্ট, কলাতলী, সুগন্ধা পয়েন্ট মিলে ছোট বড় ২৩৫ শুঁটকির দোকান রয়েছে। এসব দোকানে লইট্যা,ছুরি,মাইট্যা,লাউক্ষা, কোরাল, কেচকী, গুইজ্যা, চিংড়ি, সুন্দরী, উলুয়া, পাইস্যা, রূপচাঁদা, পোপামাছ, হাইরচাঁন্দা,ফলিয়া ও হাঙ্গরসহ নানা প্রজাতির শুঁটকি বেশি বিক্রি হয়। 

বিক্রেতারা জানান, মাত্র ২/৩ বছর আগেও কক্সবাজারের শুঁটকি পর্যটক ও স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে ও রপ্তানি হতো। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে আশঙ্কাজনক হারে মৎস্য কমে যাওয়ায় শুঁটকিমহালে আগেরমতো সামুদ্রিক মাছ শুকানো সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে দিন দিন শুঁটকির চাহিদা বাড়ছে। তাই বিদেশি শুটকি এনে চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। 



কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্টের শুটকি ব্যবসায়ী মাহি শুটকি এগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিজের সিও মোকাদ্দেসুর রহমান মুকুল জানান, তার দুইটি ফিশিং ট্রলার ও দুইটি দোকান রয়েছে। দৈনিক এসব দোকানে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার শুঁটকি বিক্রি হয়। এছাড়া পাইকারি একটি শুঁটকি আড়ৎও রয়েছে তার। সেই আড়ৎ থেকে স্থানীয় দোকান ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুঁটকি সরবরাহ করেন তিনি। তাই চাহিদা মেটাতে ও নিয়মিত শুঁটকির জোগান দিতে পাকিস্তান, ভারত ও মিয়ানমার থেকে শুঁটকি আনেন এই ব্যবসায়ী। তার দাবি, এসব শুঁটকি বিষমুক্ত, লবণমুক্ত, স্বাস্থ্যসম্মত। 

জেলা ‘শুঁটকি উৎপাদন ও ব্যবসায়ী সমিতি’র সভাপতি আতিক উল্লাহ বলেন, ‘কাঁচা মাছের দাম বেশি। এই বছর শুঁটকির দামও বেশ চড়া।  সাগরে প্রত্যাশা আনুযায়ী মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে বিদেশ থেকে শুঁটকি এনে পর্যটকদের চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে।’

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান বলেন, ‘কক্সবাজার সদর,টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপকূলীয় ৯৫০টি শুঁটকিমহালে চলতি মৌসুমে সনাতন পদ্ধতিতে মাছ শুকানো হচ্ছে।  এবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। অক্টোবর থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি চলে শুটকি উৎপাদন। এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হয়েছে। এসব শুটকি দিয়ে স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটলেও পর্যটকদের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। তাই  শুঁটকির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে।’  

ঢাকা বিজনেস/এনই/ 



আরো পড়ুন