১৮ মে ২০২৪, শনিবার



হিলিতে ব্রয়লারের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬০ টাকা

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৩:৩২ পিএম
হিলিতে ব্রয়লারের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬০ টাকা


দিনাজপুরের হিলিতে ব্রয়লার ও সোনালি জাতের মুরগির দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। রোববার ( ৫ ফেব্রুয়ারি) প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়, আর আজ (১২ ফেব্রুয়ারি) সেই ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা করে। সোনালি জাতের মুরগি ২১০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা কেজি দরে। 

মুরগি বিক্রেতারা জানান, খামারিদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই তারা বেশি দামে বিক্রি করছেন। এদিকে খামারিদের দাবি, মুরগির খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। সেজন্য মুরগিরও দাম বেড়েছে। 

হিলি বাজারের ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতা মো. জামাল হোসেন বাবু বলেন, ‌‌‘রোববার (৫ ফেবব্রুয়ারি) খামারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করি। আর আজ (১২ ফেব্রুয়ারি) ২০০ টাকা কেজি দরে কিনে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’ 

সোনালি জাতের মুরগি বিক্রেতা মো. পিন্টু মিয়া বলেন, ‘খামারিরা আমাকে বলেছেন, মুরগির খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। তাই মুরগির দাম বেড়েছে। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) খামারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি সোনালি জাতের মুরগি ২০০  টাকা কেজি দরে কিনে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। আজ সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬০ টাকা কেজি দরে কিনে ২৭০ টাকা বিক্রি করছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যারা খুচরা মুরগি বিক্রেতা তারা বেশি লাভ করি না। কেজিতে ১০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি।’ 

হিলির মুরগি খামারি গোলাম রব্বানী বলেন, ‘মুরগির খাদ্যের বস্তা প্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। যেহেতু খাদ্য খাওয়ার উপরই মুরগির ওজন নির্ভর করে। খাদ্যের দাম বাড়লে মুরগির দামও বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। এখানে আমাদের করার কিছুই নেই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে ব্রয়লার মুরগির খাদ্য নারিশ কোম্পানির ফিড প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে কিনেছি । এখন কিনতে হচ্ছে প্রতিবস্তা (৫০) ৩ হাজার ৪০০ টাকা দরে। আর সোনালি জাতের মুরগির খাদ্য পদ্মা কোম্পানির ফিড ২ হাজার ২০০ টাকার স্থলে কিনতে হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ টাকা কেজি দরে। 

নারিশ কোম্পানির স্থানীয় ফিড বিক্রেতা মো. জাহিদুল ইসলাম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমরা কমিশনে মুরগির খাদ্য বিক্রি করি। কোম্পানি যে মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। আমরা সেই মূল্যে বিক্রি করি। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই।’ 

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন