দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে আলু আমদানি হলেও স্থানীয় বাজারে কমছে না দাম। বরং প্রতিদিন আলুর দাম বেড়েই চলেছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি ভারতীয় আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে বেড়েছে দেশি আলুর দামও।
গত রোববার (১৭ নভেম্বর) প্রতিকেজি দেশি আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। ক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে আলু আমদানির পরও কেন আলুর দাম কমছে না, তা তারা বুঝতে পারছেন না। আর বিক্রেতারা বলছেন, হিলি বাজারে ভারতীয় আলুর খুব একটা চাহিদা নেই। যদিও দু’একটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে । তবে দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। ৫৫ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। অন্যদিকে বাজারে দেশি আলুর দাম কমে যাওয়ায় দেশি আলুর দামও বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। ৬০ টাকা দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি।
হিলি বাজারে আলু কিনতে আসা ক্রেতা মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি দেশি আলুই কিনি। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। গত রোববার প্রতিকেজি দেশি আলু ৬০ টাকা কেজি দরে কিনি। আর আজ কিনতে হলো ৭০ টাকা কেজি দরে। দেশি আলুর দাম বাড়ার কারণ বুঝতে পারছি না।
আরেক ক্রেতা মো. আলী হোসেন বলেন, আমি নিম্নবিত্তের মানুষ। ভারত থেকে আলু আমদানি শুরুর পর থেকেই ভারতীয় আলু কিনি। প্রথমদিকে ৫০ টাকা কেজি দরে কিনি। তার দু’দিন পর কিনি ৫৫ টাকা কেজি দরে। আর আজ রোববার কিনতে হলো ৬০ টাকা কেজি দরে। আলী হোসেন উল্টো প্রশ্ন করেন, তাহলে ভারত থেকে আলু আমদানি করে কী লাভ হলো?
হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, হিলিতে ভারতীয় আলুর তেমন চাহিদা নেই। যেসব আলু আমদানি হচ্ছে। বেশির ভাগই হলে যাচ্ছে হিলির বাইরে। যদিও স্থানীয় দু’একটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে । তারপরও দাম বেশি। ৬০ টাকা কেজি।
সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, বাজারে দেশি আলুর সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বেড়েছে। গেলো সপ্তাহে মানভেদে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজি দরে কিনে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। আর এ সপ্তাহে কিনতে হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা কেজি দরে। বিক্রি করছি ৭০ টাকা কেজি দরে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সরকারী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ আলী ঢাকা বিজনেসকে বলেন, হিলি বন্দর দিয়ে আলু আমদানি অব্যাহত আছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) হিলি বন্দর দিয়ে ২ হাজার ১২৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে।