০৫ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার



রাতে ফার্মেসি বন্ধ, ভোগান্তিতে রোগীরা

মো. আজহার উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া || ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:১০ পিএম
রাতে ফার্মেসি বন্ধ, ভোগান্তিতে রোগীরা


ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রাতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। হাসপাতালের আশপাশে থাকা সব ফার্মেসি রাতে বন্ধ থাকায় জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে এ ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।

জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত অত্যন্ত ব্যস্ততম সরকারি চিকিৎসালয় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল। এর আশপাশে শতাধিক ফার্মেসি রয়েছে। ফার্মেসিগুলো রাত ১১টা থেকে ১২ টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা ভোগান্তিতে পড়ে। জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী না পেয়ে রোগীদের অনেক কষ্ট পেতে হয়। ব্যাহত হয় চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম।

অধিকাংশ ওষুধের দোকানই ১২টার পর বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীরা। তবে হাসপাতালের সামনে দুই একটি ওষুধের দোকান খোলা পাওয়া গেলেও সব ওষুধ পাওয়া যায় না। কিছু ওষুধ অতিরিক্ত দামে বিক্রি করায় রোগীদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে।  

সদর উপজেলার সুহিলপুরের রেখা আক্তার বলেন, আমার মেয়ে  শারমিন (১৮) ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত সোমবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। এদিন দিনগত রাত ২টার দিকে তার পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। কর্তব্যরত ডাক্তারকে বিষয়টি জানালে তিনি এসে দুটি ওষুধের নাম লিখে দিয়ে যান। নার্স স্লিপে লিখে ওষুধ দুটি বাইরের ফার্মেসি থেকে আনতে বলেন। মেয়ে জামাই রুহুল আমিন বাইরের সব ফার্মেসি বন্ধ থাকায় ওষুধ দুটি সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলে সারারাত আমার মেয়ে ব্যথায় প্রচণ্ড কষ্ট পায়। সকালে ফার্মেসি খুললে সে ওষুধ সংগ্রহ করি। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সুমন ভূইয়া বলেন, ‘রাতে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় রোগীদের সরকারি ওষুধ দেওয়া যায় না। কিন্তু দিনে ঠিকই চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের সরকারি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে৷ তবে হাসপাতালের ভর্তি রোগীরা সরকারি ওষুধ পাচ্ছে৷ বিষয়টি আগামী স্বাস্থ্যসেবা মিটিংয়ে উপস্থাপন করবো।’

রাতে ওষুধের দোকান বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি আজিজুর রহমান সবুজ বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি ও সার্বিক নিরাপত্তা ওপর ভিত্তি করেই গভীর রাতে ওষুধের দোকান বন্ধ থাকে। কিন্তু আশাপাশের প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টাই ওষুধের দোকান খোলা থাকে। সেখান থেকে রোগীরা খুব সহজেই ওষুধ নিতে পারবেন৷ হাসপাতাল মোড়ের ওষুধ দোকানিরা রোগীদের কাছে অতিরিক্ত মূল্যে ওষুধ বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।



আরো পড়ুন