যে ম্যাচটা দুই দিনে শেষ হয়ে যেতো, সেটি শেষ হলো চতুর্থ দিনে। তা-ও আবার ভারতের দয়ায়। সান্ত্বনা এতটুকুই। ফলো অনে না ফেলে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামায় ম্যাচটা গড়ালো চতুর্থ দিনে। সেই পুরনো ব্যাটিং ব্যর্থতার আবর্তে ঘোরপাক খেলো সফরকারী বাংলাদেশের পারফরমেন্স। তাতে অনুমিত বড় হারই নিশ্চিত হলো। ২৮০ রানে প্রথম টেস্ট হেরে বসলো বাংলাদেশ।
চেন্নাই টেস্ট জিততে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ছিল ৫১৫ রান। তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে বাংলাদেশ করেছিল ১৫৮ রান। চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান শান্ত এবং সাকিব যখন ব্যাট করতে নামেন তখন দলের প্রয়োজন ছিল ৩৫৭ রান। এই ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হতো রেকর্ড পরিমান রান। এর আগে টেস্ট রেকর্ড ছিল ৪১৮ রান করে জেতার। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ওই রেকর্ড করেছিল ওয়েষ্টইন্ডিজ, ২০০৩ সালে।
চতুর্থ দিন সকালে প্রথম সেশনের আগেই পড়ে গেছে বাংলাদেশের ৬ উইকেট। সাকিব ২৫, শান্ত ৮২, লিটন ১, মিরাজ ৮, তাসকিন ৫, হাসান ৭ এবং নাহিদ রানা শূন্য (অপরাজিত) রান করেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে জাকির ৩৩, সাদমান ৩৫, মমিনুল ও মুশফিক ১৩ রান করেছেন, ২৩৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছিলেন সাকিব, মিরাজ করেছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭।
তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের সামনে ৫১৪ রানের টার্গেট দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ইতি টেনেছিলেন ইন্ডিয়া ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ভারত করেছিল ৩৭৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ৪ উইকেটে ২৮৭ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অল আউট হলে, দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১৫।
এদিকে ভারতের হয়ে প্রথম ইনিংসে অন্যবদ্য সেঞ্চুরি করেছিলেন স্পিনার অশ্বিন (১১৩ রান)। দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি এসেছে দুটি। শুভমান গিল ১১৯ এবং রিশাব প্যান্ট করেন ১০৯। গিল অবশ্য অপরাজিত ছিলেন।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। তিনটি পেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজ দুটি এবং নাহিদ রানা ও তাসকিন একটি করে উইকেট নেন।
ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে অশ্বিন নেন ৬ উইকেট। জাদেজা পান তিনটি। একটি উইকেট পান বুমরাহ। প্রথম ইনিংসে অনবদ্য সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট। ম্যান অব দি ম্যাচ অশ্বিন ছাড়া আর কেউ নন।