২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার
যমুনা নদীতে নির্মাণাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’র কাজ যথাসময়ে শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন,‘বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজ ৫৩ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে যেন কাজটি সম্পন্ন হয়, এ জন্য কাজ করা হচ্ছে।’ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’র কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘যমুনার টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের দুই প্রান্তে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার দূরে এই সেতুর নির্মাণকাজ চলছে। এই রেলসেতু চালু হলে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের ২২ জেলার সঙ্গে ট্রেন চলাচল সহজ করবে। একইসঙ্গে আন্তঃএশিয়া রেল যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ করিডর হিসেবে কাজ করবে। এই রেলসেতু দেশের উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।’
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘এই রেল সেতুর কাজ করতে গিয়ে আমরা তেমন প্রতিকূলতার সম্মুখীন হইনি। ২০২৪ সালের আগস্টের মধ্যে এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে। রেলসেতুটির ৫০ পিয়ারের মধ্যে ২৪টির কাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ চলছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই পিলারের কাজ শেষ হবে।’
২০২০ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেল সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রেন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পারাপারের সময় গতি অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুর ওপর দিয়ে ব্রড গেজ পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। এজন্য নতুন স্বতন্ত্র রেলসেতু নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরকালে সে দেশের সরকার এ প্রকল্পে অর্থায়নে সম্মত হয়। ২০১৭ সালের মার্চে পরামর্শক নিয়োগ করা হয়।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন শেষ হয়। বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ৫৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পের মোট বরাদ্দ বেড়ে এখন ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে অর্থ ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৩৬ শতাংশ। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ রেলওয়ে দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা নিউজ/এনই/
