দিনাজপুরের হিলিতে কাঁঠাল পাতার চাহিদা বেড়েছে। প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী বিরামপুর, নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে ভ্যান ভর্তি কাঁঠাল পাতা এনে পাইকারি দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে খুচরা বিক্রি করছেন স্থানীয় বিক্রেতারা।
পাইকারি বিক্রেতারা জানান, তাদের এলাকায় যারা কাঁঠাল গাছ বিক্রি করেন, তাদের কাছ থেকে চুক্তিতে কাঁঠাল পাতা কিনে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি বিক্রি করেন। আর খুচরা বিক্রেতারা আবার খুচরা বিক্রি করেন। এদিকে ক্রেতারা বলছেন, তাদের বাড়িতে ছাগল থাকায় খড়-ভুসির পাশাপাশি কাঁঠাল পাতা খাওয়ান ছাগলকে। তাই তাদের প্রতিদিন কাঁঠাল পাতা কিনতে হয়।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে হিলি খাদ্যগুদাম মোড়ে কথা হয়, বিরামপুর থেকে ভ্যান ভর্তি করে কাঁঠাল পাতা নিয়ে আসা মো. মজিবর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার পেশাই হলো কেউ কাঁঠাল গাছ বিক্রি করলে চুক্তিতে শুধু কাঁঠাল পাতা কিনে নেওয়া। পরে কাঁঠাল পাতাগুলো বোঝা (আঁটি) বেঁধে পাইকারি ১০ টাকা দরে বিক্রি করি। এতে বেশ ভালোই লাভ হয়। যা দিয়ে আমার সংসার চলে।’
কাঁঠাল পাতা কিনতে আসা মো. বাবু হোসেন বলেন, ‘আমার বাড়িতে ৪টি ছাগল আছে। ছাগলগুলোতে খড়-ভুসির পাশাপাশি নিয়মিত কাঁঠাল পাতা খেতে দিতে হয়। তাই আমাকে প্রতিদিন কাঁঠাল পাতা কিনতে হয়। কোনো দিন ৪ বোঝা (আঁটি) আবার কোনো দিন ৬ আঁটি কাঁঠাল পাতা কিনি। প্রতি আঁটি কাঁঠাল পাতা ১২ টাকা দরে কিনি।
হিলির খুচরা কাঁঠাল পাতা বিক্রেতা মো. সাদেক আলী ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমি মুদি দোকানের পাশাপাশি কাঁঠাল পাতা বিক্রি করি। যারা ভ্যানে করে কাঁঠাল পাতা নিয়ে আসেন, তাদের কাছ থেকে ১০ থেকে ১১ টাকা আঁটি কিনে ১২ টাকা করে বিক্রি করি। যারা ছাগল লালন-পালন করেন, তারা নিয়মিত কাঁঠাল পাতা কিনতে আসেন।’