টেস্ট ক্রিকেটের ধরন এমনই। সেশনে সেশনে এর রঙ বদলায়। যার উদাহরণ রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট। বুধবার প্রথম দিনে ১৬ রানেই তিন উইকেট নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারি বাংলাদেশ। কিন্তু দিন শেষে পাকিস্তান ৪ উইকেটে ১৫৮ রান তুলে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল।
দ্বিতীয় দিনে দুই সেঞ্চুরিতে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন তারা। তবে দিন শেষে বাংলাদেশের জন্য এটাই স্বস্তি যে, কোনো উইকেট না হারিয়েই তারা তুলেছে ২৭ রান।
টেস্টের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেশ কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয় বাংলাদেশের বোলারদের। কোনোভাবেই উইকেট পাচ্ছিলেন না তারা। ওদিকে ওয়ানডে স্টাইলে রান তুলেছেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানেরা। সউদ শাকিল ১৪১ রান করে আউট হলেও রিজওয়ান অপরাজিত ১৭১ রানে।
ওই দুই সেঞ্চুরির সুবাদে পাকিস্তান পেয়ে যায় লড়াকু সংগ্রহ। সারাদিনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি বলতে সবে ২ উইকেট। দুটোই পেয়েছেন স্পিনাররা। সউদ শাকিলকে তুলে নেন মিরাজ, আরেক ব্যাটসম্যান আঘা সালমানকে ফেরান সাকিব আল হাসান। ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন শাহিন আফ্রিদি।
আগের দিন বাংলাদেশের পেসাররা সাফল্য পেলেও দ্বিতীয় দিনে তাদের অর্জনের খাতায় শূন্য। আপাতত মনে হতে পারে দ্বিতীয় দিন শেষে এগিয়ে পাকিস্তান। তবে বিনা উইকেটে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ২৭ রান এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বড় রান করতে পারে টাইগাররাও।
আর তাই সামনের সময়টাতে মাথায় রাখতে হবে দুই চ্যালেঞ্জের কথা, পাকিস্তানের দুই সেঞ্চুরি। বুক চিতিয়ে লড়াই করতে হলে দাঁতে দাঁত চেপে টিকে থাকতে হবে উইকেটে। তাহলে রান আসবেই।
উল্লেখ্য, ভিন্ন দুটি ভেন্যুতে হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তা এবং মাঠ সংষ্কার ইস্যুতে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতেই হচ্ছে দুটি টেস্ট। দুই টেস্ট সিরিজের পরের ম্যাচ শুরু হবে ৩০ আগস্ট।