সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ছোট-বড় ১১ বাজারে সিলিন্ডার গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। গত চার দিন ধরে তাহিরপুর উপজেলা সদর বাজারসহ সবকটি বাজারই দেখা দিয়েছে সিলিন্ডার গ্যাসের তীব্র সংকট।
বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন খাবার হোটেল-রেস্টুরেন্টে ব্যবহার করা হয় সিলিন্ডার গ্যাস। কিন্তু চার দিন বাজারে গ্যাস না আসায় খাবার হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও বাসাবাড়িতে রান্না করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন ভোক্তারা। অনেকেই লাকড়ি ব্যবহার করে চালিয়ে নিচ্ছেন। কেউ কেউ হোটেল থেকে খাবার কিনে সংকট মোকাবিলা করছেন।
তাহিরপুরে চাকরিত উন্নয়ন সংস্থার কর্মী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে তাহিরপুরে থাকি। হঠাৎ করে সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে যায়। তাহিরপুর বাজারে গ্যাস না পেয়ে পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা বাজারে যাই। কিন্তু সেখানেও গ্যাস পাইনি। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এখন বাজারে থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে।’
উপজেলা সদরের ঠাকুর হাটি গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, ‘শনিবার সকালে আমার সিলিন্ডারে গ্যাস শেষ হয়ে যায়। বেশি টাকা দিয়েও বাজারে গ্যাস পাচ্ছি না। এখন লাকড়ি কিনে বাসায় পাঠিয়েছি।’
তাহিরপুর বাজারের চায়ের দোকানদার সুমর রায় বলেন, ‘সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে চা বিক্রি করি। ১২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে ৬ দিন যায়। চার দিন হয়ে গেছে। পরে যদি গ্যাস সিলিন্ডার না পাওয়া যায়, তাহলে দোকান বন্ধ রাখতে হবে।’
তাহিরপুর সদর বাজারের খুচরা এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী আলমাজ মিয়াসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘৩ দিন ধরে ডিলারের কাছ থেকে গ্যাস পাচ্ছি না। দোকানে খালি সিলিন্ডার পড়ে আছে। বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ফেব্রুয়ারির ১ তারিখের পর গ্যাস দিতে পারবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।’