কয়েক বছর টানা ফোন ব্যবহার করার পর এর স্পিড বা গতি আর আগের মত থাকে না। সময়ের সঙ্গে ফোনের স্পিড কমে যাওয়া নতুন কিছু নয়। তবে ফোনের গতি কমে যাওয়া অনেক সময় বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এর সমাধান আছে। প্রযুক্তিভিত্তিক ওয়েবসাইট পিসিম্যাগের এক প্রতিবেদনের কিছু টিপস দেয়া হয়েছে। টিপসগুলো অনুসরণ করে ফোনের গতি বাড়াতে পারেন।
ফোন রিস্টার্ট দেয়া: ফোন দীর্ঘ সময় ধরে চললে এর ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’-এ থাকা বিভিন্ন প্রক্রিয়া ফোনের স্পিড কমিয়ে দিতে পারে। তাই মাঝে মাঝে ফোন রিস্টার্ট করুন, যা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা বিভিন্ন প্রক্রিয়া থামানোর ভালো উপায় হিসেবে বিবেচিত। এমনকি ফোনের কার্যকারিতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে এতে।
অ্যাপ আনইনস্টল করা: ফোন থেকে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ মুছে ফেলুন। অনেকেই ধারণা করতে পারেন, অ্যাপ বন্ধ থাকলে ফোনের ওপর তেমন প্রভাব পড়ে না। তবে, ফোনের ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’-এ বিভিন্ন অ্যাপ সক্রিয় থাকলে ফোনের স্পিড কমাতে পারে। তাই যে অ্যাপসগুলোর দরকার নেই আনইনস্টল করতে পারেন।
ফোন সাধারণ অবস্থায় রাখুন: ফোনের স্পিড কমছে এমন মনে হলে ডিভাইসে বিভিন্ন নতুন ফিচার ব্যবহার কমিয়ে ফেলতে পারেন। এতে ডিভাইসটির ওপর চাপ কমবে। আইফোনের ক্ষেত্রে এর সম্ভাব্য মানে, হোম স্ক্রিন বা লক স্ক্রিন থেকে সব উইজেট সরানো, যেখানে এগুলোকে ঠিকঠাক রাখতে ক্রমাগত রিফ্রেশ করার প্রয়োজন পড়ে, যার ফলে ফোনের স্পিড কমে যেতে পারে। এছাড়া, ফোনে সর্বশেষ আপডেট রাখাও গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে নতুন সফটওয়্যার আপডেট এলে তা ইনস্টল করার পরামর্শ দিয়েছে ইনডিপেন্ডেন্ট। এতে ফোনের নিরাপত্তার পাশাপাশি সফটওয়্যার আপডেট করার পর ফোনের কার্যকারিতাও বেড়ে যেতে পারে।
ফোনের ব্যাটারির দিকে নজর দেয়া: ব্যাটারির সঙ্গে ফোনের কার্যকারিতার সরাসরি সম্পর্ক নেই, অনেকের এমন ধারণা থাকলেও ব্যাটারি পুরনো হলে অনেক ফোনই নিজের কর্মক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে যাতে দ্রুত চার্জ না শেষ হয়। বর্তমানে অনেকেই দ্রুত কাজ করা ফোনের তুলনায় সারাদিন চলতে পারে এমন ডিভাইস বেছে নিতে চান বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট। আইফোনের ‘সেটিংস’ অ্যাপ থেকেই ব্যাটারি পরীক্ষা করা যায়। সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন, এটি কি ভালো অবস্থায় রয়েছে, না এতে কোনো পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এমনকি কিছু অ্যান্ড্রয়েড ফোনেও একই ধরনের ফিচার আছে।
অ্যাপ ক্যাশে ফাইল মুছে ফেলা: এই উপায়টা দারুণ কাজে আসে। বিশেষ করে ওয়েব ব্রাউজ করার সময় ফোনের গতি কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে সংশ্লিষ্ট অ্যাপে জমতে থাকা ডেটার পরিমাণ। ব্যবহারকারী কেবল প্রতি ব্রাউজারের ভিত্তিতে ক্যাশে ফাইল মুছতে পারেন, যা খুবই সহজ একটি প্রক্রিয়া। আইফোনের ক্ষেত্রে তাকে সেটিংস অ্যাপে থাকা সাফারি অপশনে যেতে হবে। এর পর ক্লিয়ার হিস্ট্রি অ্যান্ড ওয়েবসাইট ডেটা অপশনে চাপ দিতে হবে। আর অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে, সেটিংস অ্যাপে থাকা ‘স্টোরেজ’ অপশনে যান। এর পর ‘অ্যাপস’ অপশনটি চাপুন। এখানে প্রতিটি অ্যাপ একত্রে বেছে নিয়ে ‘ক্লিয়ার ক্যাশে’ নামের অপশনে চাপ দিলেই সব তথ্য মুছে যাবে।