২৬ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার



থিম পার্ক: আসছে দর্শনার্থী, হচ্ছে কর্মসংস্থান

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ২৫ জুলাই, ২০২৪, ১২:০৭ পিএম
থিম পার্ক: আসছে দর্শনার্থী, হচ্ছে কর্মসংস্থান


দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা সদর থেকে ৩ কিলোমিটার দুরে হিলি-বিরামপুর সড়কের  পাশে তৈরি করা হয়েছে বিরামপুর প্রিমিয়াম ওয়াটার একুয়া থিম পার্ক। যেখানে প্রতিদিন ভিড় করছেন ভ্রমণপিপাসুরা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন তারা। 

বিরামপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু ২০১৯ সালে প্রায় ১০ একর জমির ওপর প্রথম পার্কটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয় এটি। এই পার্কে ২০ জন মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। 

পার্কে প্রবেশের পর দর্শনার্থীদের চোখে পড়বে হরেক রকম ফুলের গাছ। ভেতরে তৈরি করা হয়েছে বড় বড় ৪টি সুইমিংপুল। এসব সুইমিংপুলে নারী-পুরুষসহ শিশুদের আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিনা পয়সায় শিশুদের জন্য রাখা হয়েছে নানা রকম রাইড। একুয়া থিম পার্কে রয়েছে হাতির ঝিলের আদলে ব্রিজ। সন্ধ্যার ব্রিজটিতে থাকছে হরেক রকম আলোকসজ্জার ব্যবস্থা। 

পার্কের ভেতরে প্যাটেল বোট এবং স্পিড বোট নিয়ে ঘোরার মতো লেকও রয়েছে। আছে ফুয়ারাও। পার্কের পয়েন্টে পয়েন্টে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন প্রাণীর ভাস্কর্য।  গাড়ির রাখার বিশাল পাকিংয়ের ব্যবস্থা। রাত যাপন করার জন্য রয়েছে আবাসিক ব্যবস্থা। 

কথা হয়, পার্শ্ববর্তী ঘোড়াঘাট উপজেলা থেকে আসা মো. আনিছার রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পরিবার নিয়ে একুয়া থিম পার্কে ঘুরতে এসেছি। প্রবেশমূল্য ১১৫ টাকা। ভেতরে ঢোকার পর বিভিন্ন রাইডের জন্য কোনো আলাদা টাকা দিতে হয় না। বেশ ভালোই লাগলো। পরিবার-পরিজন নিয়ে উপভোগ করার মতো একটি জায়গা। আমাদের পাশের উপজেলায়। তাই বেড়াতে এসেছি। ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন রাইডগুলোতে উঠছে। এরজন্য আলাদা কোনো পয়সা দিতে হচ্ছে না।’ 

দিনাজপুর থেকে এসেছেন মো. সোলাইমান হোসেনসহ কয়েকজন বন্ধু । তারা বলেন, ‘দিনাজপুরের রামসাগর, নবাবগঞ্জের স্বপ্নপুরী সব বিনোদন কেন্দ্র দেখেছি। শুনেছি, বিরামপুরে প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক হয়েছে। তাই বন্ধুরা সকলে বাইক নিয়ে এসেছি। আধুনিক ৪ টি সুইমিংপুল রয়েছে। আমরা সুইমিংপুলে গোসল করছি। এছাড়া রয়েছে স্পিডবোট নিয়ে ঘোরার মতো লেক। সবমিলিয়ে অল্প টাকায় বিনোদন করা মতো একটি উপযুক্ত পরিবেশ বিরামপুর প্রিমিয়াম ওয়াটার একুয়া থিম পার্ক।’

বিরামপুর প্রিমিয়াম ওয়াটার একুয়া থিম পার্কের স্বত্বাধিকারী মো. খায়রুল আলম রাজু ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘রংপুর বিভাগে খুব বেশি ওয়াটার পার্ক নেই। তাই এই অঞ্চলের বিনোদনপ্রেমীদের কথা চিন্তা করে এই ওয়াটার পার্ক তৈরির পরিকল্পনা মাথায় নেওয়া হয়। একুয়া ওয়াটার থিম পার্কে আরও নতুন নতুন রাইড সংযোজন করা হবে। শিগগিরই চায়না থেকে গাইড আসবেন। আশা করছি, এটি একটি নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন ওয়াটারপার্ক হবে।’ 

খায়রুল আলম রাজু আরও বলেন, ‘এই ধরনের পার্কে টিকিটের মূল্য সাধারণত ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা হয়। আমরা ১১৫ টাকা রেখেছি। এছাড়া অন্যান্য ওয়াটার পার্কে প্রবেশের পর ভেতরে রাইডের জন্য আলাদা আলাদা টিকিট কাটতে হয়। যা একুয়া থিম পার্কে লাগে না। এক টিকিটেই সব রাইড ঘুরতে পারবেন দর্শনার্থীরা।’ 



আরো পড়ুন